মাড়ির সমস্যায় ঘরোয়া সমাধান

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস July 5, 2017 639
মাড়ির সমস্যায় ঘরোয়া সমাধান

কচকচে পেয়ারা! এক কামড়ে বেশ খানিকটা নিয়ে চিবাতে গিয়েই বিপত্তি! ব্যথায় গালে হাত!


এরকম সমস্যার পাশাপাশি যাদের প্রায়ই দাঁতে ব্যথা বা শিরশিরে অনুভূতি হয়, রক্ত পড়ে বা মুখে দুর্গন্ধ হয়- বুঝতে হবে তাদের মাড়িতে রয়েছে সমস্যা।


স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই ধরনের সমস্যা ছাড়াও ‘জিনজিভাইটিস’ বা মাড়িতে প্রদাহ মারাত্বক রোগ। যা দ্রুত দন্ত চিকিৎসককে দেখানো উচিত।


তবে ছোটখাট মাড়ির সমস্যা হাতের নাগালে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে।


অ্যালোভেরা: এর প্রদাহ এবং ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান মাড়ির চিকিৎসায় কার্যকর। টাটকা অ্যালোভেরা জেল মাড়িতে আধা ঘণ্টা মালিশ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েক সপ্তাহ ধরে দিনে কয়েকবার মালিশ করতে হবে।


নারিকেল তেল: ‘অয়েল পুলিং’ নামের এই প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে অল্প নারিকেল তেল মুখে নিয়ে কুলিকুচি করে ফেলে দিতে হবে। এতে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা থেকে হওয়া ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।


সামুদ্রিক লবণ: ব্যাকটেরিয়ারোধী সামুদ্রিক লবণ মাড়ির রোগবালাই ও ব্যথা দূর করার প্রাচীন এবং জনপ্রিয় পন্থা। তাই পানি ও সামুদ্রিক লবণের মিশ্রণ দিয়ে নিয়মিত কুলিকুচি করুন।


টি ট্রি অয়েল: এতেও আছে প্রদাহরোধী উপাদান। যা সংবেদনশীল মাড়ি সারাতে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, মাড়ির উপরের অংশে টি ট্রি অয়েল প্রয়োগ করলে ‘জিনজিভাইটিস’ রোগের ঝুঁকি কমে।


ব্ল্যাক টি: আছে ‘ট্যানিক অ্যাসিড’ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ব্যথা সারাতে পারে। আক্রান্ত মাড়ির উপর ব্ল্যাক টি’য়ের একটি ঠাণ্ডা টি ব্যাগ তিন থেকে পাঁচ মিনিট ধরে রাখলে উপকার পাবেন।


ক্যামোমাইল টি: জীবাণুনাশক এবং প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। মাড়ির রোগ থেকে বাঁচতে একে মুখ পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার করুন।