যে ১০টি তথ্য ফেসবুকে না রাখাই নিরাপদ!

ফেসবুক টিপস July 2, 2017 2,441
যে ১০টি তথ্য ফেসবুকে না রাখাই নিরাপদ!

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০০ কোটি ব্যবহারকারীর এক বিশাল সাম্রাজ্য এটি। আর সেখানে নিজ নিজ এ্যাকাউন্টগুলো নিরাপদ রাখতে কিছু পন্থা অবশ্যই মেনে চলতে হয়, জানতে হয় কোন বিষয়গুলো বন্ধুদের জানাবেন, আর কোনগুলো জানাবেন না। নিচে এমন ১০টি বিষয় তুলে ধরা হলো যা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে না রাখাই নিরাপদ-


১. ফোন নাম্বার:


ফেসবুকে নিজের ফোন নাম্বারের তথ্য না রাখাই উত্তম। কারণ এর মাধ্যমে হয়তো কখনো আপনি দুই-একজন শুভাকাঙ্খীর ফোন পেতে পারেন। তবে কখনো আবার উত্তক্ত্যকারীদের পাল্লায়ও পড়তে পারেন।


২. জন্মদিন:


আপনার জন্মদিনের তারিখ বা এর সাথে নাম, ঠিকানা হতে পারে আপনার গোপনীয়তা রক্ষার খাতিরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে হ্যাকাররা আরও সহজে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ব্যক্তিগত বিবরণ হস্তগত করে নিতে পারেন।


৩. অধিক সংখ্যক বন্ধু :


অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবিন ডানবারের তত্ত্ব অনুযায়ী একজন মানুষ প্রায় ১৫০ জনের সাথে গভীর বন্ধুত্ব রক্ষা করতে পারে। ৩ হাজার ৩৭৫ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীকে পরীক্ষা করে ডানবার দেখান যে, ৪.১ জন হন আস্থাভাজন এবং ১৩.৬ জন মানসিক সঙ্কটের সময় সহমর্মিতা দেখায়। তাই নিষ্ক্রিয় বন্ধুদের ছাটাই করা সামাজিক মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর মিথষ্ক্রিয়ার জন্য উপযোগী।


৪. আপনার সন্তান বা পরিবারের ছোট সদস্যদের ছবি শেয়ার করা:


অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সিটিউটের পরিচালক ভিক্টোরিয়া নাশ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্থাপন করেন, যেটি অনেকেই সমর্থন করে, একজন শিশু তার সম্পর্কে কিরূপ তথ্য পরবর্তী সময়ে অনলাইনে দেখতে চাইতে পারে? আগের প্রজন্ম এটা বিবেচনা করার প্রয়োজনই মনে করে না কিন্তু ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমের বিকাশ এই প্রশ্নটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।


৫.রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস:


নতুন রিলেশন উদযাপন কারতে চাইলেও তা ফেসবুকে করা ঠিক নয়। কারণ সম্পর্ক ভেঙ্গেও যেতে পারে এবং পরবতীতে ‘ইন এ রিলেশনশিপ’ থেকে ‘সিঙ্গেল’ স্ট্যাটাসে যাওয়াটা আরও বিব্রতকর নয়কি?


৬. লোকেশন সার্ভিস:


শুধুমাত্র এন্ড্রোয়েড বা আইফোনেই লোকেশন সার্ভিসটি রয়েছে। ২০১৫ সালে টেকক্রাঞ্চ জানায় যে, শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ফেসবুকে প্রবেশ করে ৫০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী। অর্থাৎ এদের মধ্যে একই সংখ্যক অনলাইনে তাদের লোকেশন প্রকাশ করে দেয়। এবং যে কেউ যারা তোমার ক্ষতি করতে চায় বা না চাইলেও জানতে পারে তুমি কোথায় আছো।


৭. ব্যবস্থাপক:


এই বিষয়টা সমাজের উচ্চস্থানীয়দের জন্যই প্রযোজ্য। ফেসবুক একটি সামাজিক মাধ্যম এবং কিছু ক্ষেত্রে আলাপচারিতা হালকাও হতে পারে। কিন্তু কোম্পানির সিইও তোমার ওয়ালে প্রবেশ করতে পারে, তোমার প্রতিটি স্ট্যাটাস আপডেটেও তার প্রবেশাধিকার রয়েছে। তুমি তোমার কিছু আপডেট থেকে সিইওকে বাদ দিতে পারো কিন্তু তাতেও ঝামেলা কতটা কমাবে?


৮. অবস্থান সম্পর্কে ট্যাগ নয়:


মানুষ অনেক সময়ই ভুলে যায় তাদের বাসায় অবস্থানের ট্যাগ করাটা আসলে তার ঠিকানা সবাইকে দিয়ে দেওয়ার মতোই।


৯. কখন এবং কোথায় ছুটিতে যাচ্ছি:


একটি ফাইন্যানন্সিয়াল ওয়েবসাইট দিস ইস মানি জানায়, যেসব ভ্রমণকারীরা ছুটি কাটানোর সময় চুরির শিকার হয় এবং তারা যদি তাদের ছুটির পরিকল্পনা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে, তাহলে তাদের ইন্সুরেন্স দাবি গ্রহণযোগ্য হবে না।


১০. ক্রেডিট কার্ড বিবরণ: এটা কখনোই ভালো চিন্তা নয়। এতে আপনা ফতুর হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।


সূত্র: গেজেট থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি