দুই সন্তানের ব্যবধান কত দিন হওয়া উচিত?

লাইফ স্টাইল June 30, 2017 932
দুই সন্তানের ব্যবধান কত দিন হওয়া উচিত?

প্রথম সন্তানের কত দিন পর দ্বিতীয় সন্তান আসা উচিত? যারা দু’টি সন্তান চান তাদের মনে এই প্রশ্নটা স্বাভাবিক ভাবেই আসে। ডাক্তার ও মনোবিদরা বলে থাকেন দুই সন্তানের ব্যবধানের কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম, হিসেব বা ফর্মুলা নেই।


ব্যবধান কম হওয়ার যেমন কিছু সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে, তেমনই ব্যবধান বেশি হওয়ারও রয়েছে সুবিধা-অসুবিধা। সবটাই নির্ভর করবে আপনার লাইফস্টাইল আর প্ল্যানিংয়ের উপর। জেনে নিন সুবিধা-অসুবিধাগুলো।


দুই বছরের কম ব্যবধানের সুবিধা: এতে খুব কম সময়ের মধ্যেই সন্তান ধারণ, গর্ভাবস্থা এবং ফ্যামিলি প্ল্যানিং সেরে ফেলতে পারেন বাবা, মায়েরা। ফলে বয়স কম থাকতে থাকতেই ঝাড়া হাত-পা।


অসুবিধা: দুই বার প্রেগন্যান্সির মধ্যে খুব কম সময়ের ব্যবধান হওয়ায় কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সন্তানের দেখভাল করতে গিয়ে অনেক শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দুটো শিশু এক সঙ্গে বড় করে তুলতে খরচও বাড়বে।


দুই থেকে চার বছর ব্যবধানের সুবিধা: প্রথম সন্তানের দু’বছর পর যদি দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনা করেন তাহলে সেই সময়ের মধ্যে মা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।


দ্বিতীয় বার সন্তান ধারণের জন্য শরীরও প্রস্তুত হয়ে যাবে। প্রথম সন্তান বড় হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় সন্তান তার ব্যবহৃত জিনিস, জামা-কাপড়ও ব্যবহার করতে পারবে। এতে খরচও অনেকটা কমবে।


চার বছরের বেশি ব্যবধানের অসুবিধা: যদি প্রথম সন্তান চার বছর বা তার বেশি হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনা করেন তা হলে কিন্তু আবার নতুন করে সব কিছু ভাবনা চিন্তা করতে হবে। প্রেগন্যান্সির জন্য শরীরকে আবার তৈরি করে তুলতে কিছুটা অসুবিধা হবে।


সুবিধা: এই সময়ের মধ্যে আপনার প্রথম সন্তান বেশ কিছুটা বড় হয়ে যাওয়ায় অনেক কাজই নিজে করতে শিখে যাবে। ফলে আপনি দ্বিতীয় সন্তানকে সময় দিতে পারবেন।


দুই সন্তানের মধ্যে ব্যবধান বেশি হলে ছোট বেলায় বন্ডিং গড়ে উঠতে সময় লাগলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ডিং বাড়তে থাকে।