ফল ও শাকসবজি কীটনাশকমুক্ত রাখার উপায়

টুকিটাকি টিপস June 28, 2017 870
ফল ও শাকসবজি কীটনাশকমুক্ত রাখার উপায়

বাজারের কেনা ফল থেকে শুরু করে শাকসবজি, বাড়িতে এনেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামান্য পানি দিয়ে ধুয়ে তা খাওয়া হয়। তবে আপনি কি জানেন যে, দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে খাবার খেয়ে থাকি তাতে প্রচুর পরিমানে কীটনাশক থেকে শুরু করে সারের স্তর যুক্ত থাকে। যা সামান্য পরিমান পানি দিয়ে ধুলে কখনোই যায় না। তাই নিচে কিছু মূল্যবান টিপস নিয়ে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে খুব সহজেই আপনি রোগ মুক্ত জীবন কাটাতে পারবেন।


ফল ও শাকসবজি ধোওয়ার নিয়ম:

খুব হালকা ভাবে পরিস্কার জল দিয়ে ভালো করে ফল এবং শাকসবজি ধুয়ে কাটা উচিত। পানি দিয়ে ধোয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে খুব কচলে তা ধোয়া না হয়। কোমল ভাবে প্রায় মিনিট কয়েক ধুয়ে তারপর তা আপনি সহজেই খেতে পারবেন। শাকসবজি এবং আলুতে স্যাপোডিলা নামক ময়লা থাকে। যা পেটের বিভিন্ন সমস্যা করে থাকে। তাই এ প্রকার ময়লাকে খুব সহজেই আপনি ধুয়ে পরিস্কার করে রান্নার উপযুক্ত করতে পারবেন।


লবণ পানিতে শাকসবজি ভিজিয়ে রাখুন:

আমরা সকলেই জানি যে লবণ যে কোনোও বিষাক্ত জীবানুকে বিনষ্ট করতে সাহায্য করে। বাজারের কেনা শাকসজিতেও তার কোনোও ব্যতিক্রম নেই। গবেষকদের মতে লবণ পানিতে শাকসবজি ধুলে অথবা রান্নাতে স্বাদ অনুসারে লবণের ব্যাবহারে সবজিতে থাকা সারের এবং কীটনাশকের স্তর বিনষ্ট হয়ে যায়।


ব্লানচিং পদ্ধতিতে রান্না সারুণ:

এটি একটি ফরাসি প্রক্রিয়াতে রান্না। যেই পদ্ধতিতে আপনি ভালো করে বযেলিং এর মাধ্যমে আপনার রান্নাকরা শাকসবজি গুলোকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে পারবেন।


মোমের প্রলেপ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়:

বাজারে বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ ফলের মধ্যেই থাকে মোমের প্রলেপ। যা খালি চোখে খুব সহজেই ধরা পরে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপেল , নেশপাতিতে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই এই ধরণের ফলের গায়ে ছুঁরি বা নখ দিয়ে আঁচরের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে তা মোম মুক্ত কিনা।


হোয়াইট ভিনেগার সমাধানের উপায়:

১০ শতাংশ ভিনেগার এবং ৯০ শতাংশ পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরী করুণ। তারপর তাতে ১৫ থকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন বাজার থেকে নিয়ে আসা শাকসবজি থেকে শুরু করে ফল। এর ফলে খুব সহজেই কীটনাশক এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে পারবেন ফল ও সবজি।