হঠাৎ হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে কী করবেন

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস June 25, 2017773
হঠাৎ হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে কী করবেন

হার্ট অ্যাটাকের সাধারণত কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যার মধ্যে প্রধানত রয়েছে বুকে ব্যথা হওয়া, বুকে চাপ লাগা, অস্থিরতা বোধ করা, হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।


বুকের ব্যথা কখনও কখনও বাম ঘাড়ের দিকে বা বাম চোয়ালে যেতে পারে, শুধু তাই নয়, বাম বাহুর ভেতরের দিকেও ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, হাসপাতাল দূরে হলে এস্পিরিন ৪টি ট্যাবলেট একসঙ্গে খাইয়ে দিতে হবে। হাতের কাছে পাওয়া গেলে জিহ্বার নিচে নাইট্রোকার্ড বা নাইট্রোসোল স্প্রে করে দিতে হবে।


কিন্তু যদি এমন কিছু হয়, যখন হার্ট অ্যাটাকের কিছুই রোগী বুঝতে পারবে না, কিন্তু হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যেতে পারে। এমনকি জীবনাবসানও ঘটে যেতে পারে। এমনটা হওয়া অসম্ভব নয়। এমন অবস্থা হওয়াকেই বলে সাইলেন্ট এমআই বা সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক!


যে কারণে সাইলেন্ট

রোগী এই সময় কিছু বুঝতে পারে না, আর পারলেও খুব অল্প বা সাধারণ ব্যথা হিসেবে মনে করে তেমন পাত্তা দেয় না। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেই প্রধানত এমনটা দেখা যায়। যাদের শরীরে ডায়াবেটিসের জন্য নানা ধরনের কমপ্লিকেশন তৈরি হয়, তাদের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হওয়ার কারণে শরীরের বোধশক্তি অনেকটাই কমে আসে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের সময় তীব্র ব্যথা হলেও মানুষ সেটা বুঝতে পারে না সহজে।


চিকিৎসা-চিকিৎসার ব্যাপারে সাধারণ হার্ট অ্যাটাক আর সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। সাইলেন্ট এমআই থেকে দূরে থাকতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুব প্রয়োজনীয়।


কী করা উচিত

- ডায়াবেটিসের কমপ্লিকেশন যার শরীরে তৈরি হবে, তাকে সব সময় সাবধানে থাকতে হবে।


- নিয়মিত কোনো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা ডায়াবেটোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।


- বুকে অল্প ব্যথা দেখা দিলে কিংবা অস্থিরতা বোধ করতে (যেটা হাইপোগ্গ্নাইসেমিয়া নয়) দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে! অস্থিরতা হাইপোগ্গ্নাইসেমিয়ার জন্য নাকি সাইলেন্ট এমআইর জন্য, তা বোঝার উপায় হলো- হাইপোগ্গ্নাইসেমিয়ার জন্য যখন অস্থিরতা হয়, তখন গ্গ্নুকোজ বা চিনি কিংবা অন্য কোনো খাবার খেলে সেটা দ্রুতই ঠিক হয়ে আসবে; কিন্তু সাইলেন্ট এমআইর ক্ষেত্রে সেটা হবে না। আর ঘরে গ্গ্নুকোমিটার থাকলে সহজেই এটা বোঝা যাবে।