সাধারন ফল করমচার অসাধারন যত গুনাগুন

ফলের যত গুন June 21, 2017 2,211
সাধারন ফল করমচার অসাধারন যত গুনাগুন

করমচা খুব সাধারণ একটি ফল হলেও, এর গুণাগুণ অসাধারণ। করমচা ভিটামিন 'সি' এর অন্যতম উৎস। দাঁত, দাঁতের মাড়ি, অকাল বার্ধক্য রোধে ও ফুসফুস ভাল রাখতে সহায়তা করে থাকে ভিটামিন সি। করমচায় আরো রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন 'এ' যা আমাদের শরীরের জন্য জরুরী।


করমচার রয়েছে আরও গুণাবলি যা স্বাস্থ্যরক্ষায় সাহায্য করে, আসুন জেনে নিই:


ডায়াবেটিস ও হার্টের জন্য উপকারী

করমচাতে কোনো ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই। তাই ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য এ ফল খুব উপকারী। করমচা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।


চোখ ভালো রাখে

করমচাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য খুবই উপকারী।


খাবারে রুচি বাড়ায়

ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা খাবারে রুচি বাড়ায়। মৌসুমী সর্দি-জ্বর নিরাময়ে সাহায্য করে। স্কাভি, দাঁত ও মাঢ়ির নানা রোগ প্রতিরোধে করমচা সাহায্য করে।


হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে

করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়।


কৃমিনাশক

করমচা প্রাকৃতিক কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। কৃমির ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে করমচা কাজ করে।


ক্লান্তি দূর করে

করমচার কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তি যোগায়। করমচা তাৎক্ষনিকভাবে শরীরের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে চাঙা রাখে।


ব্যাথা ও বাত নিরাময়ে

বাতরোগ কিংবা ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা টনিকের মতো কাজ করে।


চোখ ও ত্বকের যত্নে

করমচাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। চোখের প্রয়োজনীয় পুষ্টি করমচাতে রয়েছে। এটি ত্বক ভালো রাখে ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।


ভেষজ চিকিৎসায়

'করমচা' এর স্বাস্থ্য উপকারিতা হল: হার্ট সুস্থ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়াও স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধী, বদহজম, পেট ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিকার হিসাবে করমচা বেশ কাজ করে থাকে। করমচা রক্তস্বল্পতা নিরাময়েও দুর্দান্ত কাজ করে। করমচার পাতার রসে জ্বর, ডায়রিয়া এবং কানে ব্যথায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। করমচার শিকড় একটি হজমী গাছান্ত ঔষধ হিসেবে পরিচিত।


প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় আছে

প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় রয়েছে: এনার্জি- ৬২ কিলোক্যালরি কার্বোহাইড্রেট- ১৪ গ্রাম প্রোটিন- ০.৫ গ্রাম ভিটামিন এ- ৪০ আইইউ ভিটামিন সি- ৩৮ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন- ০.১ মিলিগ্রাম নিয়াসিন- ০.২ মিলিগ্রাম আয়রন- ১.৩ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম- ১৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম- ২৬০ মিলিগ্রাম কপার- ০.২ মিলিগ্রাম।


সূত্র: ফুড ব্লগ