যে ৫টি কারণে গার্লফ্রেন্ডের কাছে উপদেশ নেবেন না

লাইফ স্টাইল June 19, 2017 2,185
যে ৫টি কারণে গার্লফ্রেন্ডের কাছে উপদেশ নেবেন না

উপদেশ মানলে কাঙ্খিত লক্ষ্যের কাছাকাছি যাওয়া সহজ হয়। কিন্তু আপনার গার্লফ্রেন্ডের উপদেশ কখনোই আপনাকে সাহায্য করবে না। মেয়েরা সবসময় তাদের ভালোবাসার মানুষের পাশে সবসময় থাকতে চায়। কিন্তু যখন আপনি নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চান, তখন আপনার ব্যাক্তিগত জীবন ত্যাগ করতে হবে।


সাইক্লোজি বলে, মেয়েরা সবসময় সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন করে তোলে এবং এর ফলে আপনি থেমে যেতে পারেন।


বলা হয়ে থাকে, প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে রয়েছেন একজন রমণী। এটির সঙ্গে আমরা একমত।


একজন নারী পুরুষের মনকে শক্ত করে এবং নৈতিকতার বৃদ্ধি ঘটায়।


কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে এটির যুক্তি তর্ক ভিন্ন।


জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো কেবল নিজেই নেয়া উচিত। কারণ অন্য কোনও ব্যক্তি এর জন্য দায়ী থাকবে না।


১. সহজে সুখী করার চেষ্টা:

সফল ও সুখী হওয়ার কোনো সহজ পথ নেই। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা কখনো কখনো বন্ধু কিংবা সঙ্গীদের কাছে পরামর্শ নিয়ে থাকি। কিন্তু আপনার গার্লফ্রেন্ড কখনো জটিল সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থন করবে না। সে আপনাকে সহজ সিদ্ধান্ত নিতে বলবে। খুব সহজেই আপনাকে সুখী রাখার চেষ্টা করবে। এতে আপনি ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।


তাই নিজের লক্ষ্যস্থল নিজেই ঠিক করুন। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করুন।


২. অতিরিক্ত প্রশ্নের সম্মুখীন:

লক্ষ্য নির্ধারণে আপনার গার্লফ্রেন্ড যুক্ত থাকলে সে আপনাকে নানান প্রশ্ন করবে। আপনি লক্ষ্যে ব্যর্থ হলে এমন একটা জায়গা পৌছবেন , যেখানে আপনার দিকে শুধু প্রশ্ন ছোঁড়া হবে। কাজেই নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্য কাউকে জড়িত না করাই ভালো।


৩. সবখানে বিরক্তি:

বাসা, অফিস কিংবা রেস্টুরেন্ট যেখানেই থাকেন না কেন, সিদ্ধান্তে গ্রহণে আপনার গার্লফ্রেন্ড যুক্ত থাকার চেষ্টা করবে। সব সময় আপনার কাছে সে বিষয়ে জানতে চাইবে।


৪. নিজের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা:

যখন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে নিজের ধারণা নেই, তখন কারো না কারো কাছে উপদেশের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু নিজ সিদ্ধান্তে আন্তবিশ্বাসী থাকলে অন্য কারো উপদেশের কোনো প্রয়োজন নেই। তাই নিজেকে খাটো করবেন না।


৫. পরিবার পরিজনের প্রভাব:

সিদ্ধান্ত বিবেক বুদ্ধির মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। সিদ্ধান্তে আবেগ জড়িত থাকলে সে সিদ্ধান্ত দূর্বল হয়, লক্ষ্য থেকে ছিঁটকে পড়তে হয়। আর পরিবার পরিজনের সঙ্গে আপনার আবেগের জায়গাটা বেশি কাজ করে। এতে সঠিক সিদ্ধান্ত তৈরি নাও হতে পারে।