নারীদের একান্ত ব্যক্তিগত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা

ইসলামিক শিক্ষা June 15, 2017 1,193
নারীদের একান্ত ব্যক্তিগত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা

শান্তির ধর্ম ইসলাম। এ ধর্মে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি সকল বিষয়ের সুস্পষ্ট সমাধান রয়েছে।


একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় থেকে নিয়ে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আর্ন্তজাতিক বিষয়ের সমাধান রয়েছে। নারী-পুরুষের সমন্বয়ে এ পৃথিবী। আর নারীর রয়েছে একান্ত অনেক জিজ্ঞাসা। এসব নিয়ে আজকের আলোচনা-


হায়েজ অবস্থায় নামাজ ও রোজার বিধান

১. নারীদের জন্য হায়েজ অবস্থায় রোজা রাখা এবং নামাজ পড়া জায়েয নাই। ফতোয়া শামি ১/২৯০


২. পবিত্র হওয়ার পর রোজা রাখা শুরু করবে। যদি রমজান বাকি থাকে। আর যে রোজা অবশিষ্ট রয়ে গেছে তা পরবর্তীতে কাজার নিয়তে রাখবে । তবে নামাজ মাফ। নামাজের কাজা আদায় করতে হবে না। তাতারখানিয়া ২/৩৮৭


৩. যদি কোন নারী হায়েজ অবস্থায় থাকে। অত:পর রমজানের দিনে পাক হয়। তাহলে সে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খানা পিনা থেকে বিরত থাকবে এবং ঐ দিনের রোজা কাজা করবে। অন্যান্য ছুটে যাওয়া রোজাও কাজা আদায় করবে। বাহরুর রায়েক ২/২৯১


৪. যদি কোন নারী রমজানে পাক এবং রোজাদার থাকে। অত:পর দিনে রক্ত আসা শুরু হয়। তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। এরপর খানা পিনা শুরু করতে পারবে । হায়জের সময়ে যে রোজা ছুটে গেছে তারসাথে যে দিন রক্ত এসেছে সেদিনের রোজাও কাজা করতে হবে। ফতোয়া তাতারখানিয়া ২/২৭২


৫. যদি ফরজ নামাজের মধ্যে হায়েজ শুরু হয় তাহলে নামাজ মাফ হয়ে যাবে। পাক হওয়ার পর তা কাজা আদায় করতে হবে না। ফতোয়া আলমগিরী ১/৩৮


৬. তবে যদি নফল বা সুন্নত নামাজের মধ্যে হায়েজ শুরু হয় তাহলে পাক হওয়ার পর তা ক্বাজা আদায় করতে হবে। ফতোয়া আলমগিরী ১/৩৮


৭. যদি নফল রোজার মধ্যে হায়েজ শুরু হয়। তাহলে কাজা করতে হবে। ফতোয়া আলমগিরী ১/৩৮


নেফাছ অবস্থায়া নামাজ ও রোজার বিধান

১. বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নারীর জরায়ু থেকে যে রক্ত আসে তাকে নেফাছ বলে। তার সর্বোচ্চ সময়সীমা চল্লিশ দিন। সর্বনিম্ন সময়ের কোন সীমা নেই। ফতোয়া আলমগিরী ১/৩৭


২. নেফাছের সময় নামাজা, রোজা, কুরআন শরিফ তেলাওয়াত, কুরআন শরিফ স্পর্শ করা বাইতুল্লাহ শরিফ তওয়াফ করা, সহবাস করা না জায়েয। হারাম। ফতোয়া আলমগিরী ১/৩৮,৩৯


৩. নেফাছের সময়ের নামাজের কাজা নেই। অবশ্য রোজার কাজা আছে। সুতরাং ঐ সময়ে যতো রোজা না রাখতে পারবে পাক হওয়ার পর তা রাখা ফরজ। ফতোয়া আলমগিরী ১/৩৮


৪. যদি বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চল্লিশ দিনের পূর্বে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে গোসল করে নামাজ পড়া ফরজ। আর যদি রমজান মাস হয় তাহলে রোজা রাখা ফরজ। বাহরুর রায়েক ১/২১৯


৫. যদি বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চব্বিশ দিনের পূর্বে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, আর সে এ সময়ে নামাজ না পড়ে থাকে তাহলে ঐ দিনগুলোর হিসাব করে ছুটে যাওয়া নামাজ আদায় করা আবশ্যক। বাহরুর রায়েক ১/২১৯


এস্তেহাজা অবস্থায় নামাজ ও রোজার বিধান

হায়েজ এবং নেফাছ ব্যতিত যদি রক্ত আসে তাহলে তা এস্তেহাজা। আর এস্তেহাজা অবস্থায় নামাজ রোজা মাফ হয় না। সুতরাং এস্তেহাজা অবস্থায় নামাজ পড়া, রোজা রাখা আবশ্যক। ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ২/৬১৬