সিনেমার নায়কেরা যেভাবে ম্যাচ জেতাতেন

মজার সবকিছু June 12, 2017 1,626
সিনেমার নায়কেরা যেভাবে ম্যাচ জেতাতেন

ঢালিউড সিনেমার নায়কেরা যদি তামিম, সাকিব, মাশরাফিদের জায়গায় ক্রিকেট খেলতেন তাহলে কেমন হতো? বিশেষ করে সিনেমার নায়কেরা তাঁদের ‘স্বভাবসুলভ’ খেলা খেললে কীভাবে ম্যাচ বের করে আনতেন?


জসিম

জসিম সব সময় টসে জিততেন। লটারিতে নিয়মিত ৪০ লাখ টাকা জেতা যাঁর কাছে ডাল-ভাত, টস তাঁর কাছে কিছুই না। টসে জিতে পিচের সুবিধা নিয়ে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতেন। দলের বিপদে লটারির সাহায্য নিয়ে সঠিক বোলার/ব্যাটসম্যান নির্বাচন করে আনতেন সাফল্য।


মান্না

সৎ, নির্ভীক ক্রিকেটার মান্না তাঁর সততা দিয়ে প্রতিটি ম্যাচ থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনতেন। ব্যাটিংয়ে প্রতিটা শট সিলেক্ট করতেন সৎভাবে। অর্থাৎ কোনো দুই নম্বরি বা ভুয়া শট খেলতেন না। ফলে তাঁকে আউট করা হতো প্রায় অসম্ভব। বোলিংয়ের সময় সব বল তিনি ফেলতেন মোক্ষম জায়গায়, যা মোকাবিলা করতেই বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের জান পানি হয়ে যেত।


রুবেল

কুংফু-কারাতের কৌশল কাজে লাগিয়ে যেকোনো বোলারকে তুলাধোনা করে বল পাঠাতেন সীমানার বাইরে। প্রয়োজনের মুহূর্তে নিজে বোলিংয়ে এসে একই সঙ্গে পেস, স্পিন, দুসরার মিশ্রণে বল করে এমন ঘূর্ণন তৈরি করতেন যে বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যান কারাতে-বোলিংয়ে কুপোকাত হয়ে ক্রিজ থেকে পালাতে পথ পেতেন না।


বাপ্পারাজ

দলের জন্য বাপ্পারাজের ত্যাগ-তিতিক্ষা থাকত সবচেয়ে বেশি। প্রয়োজনে নিজের প্রেমিকার মতো ব্যাটিং অর্ডার অন্যকে দিয়ে হলেও দলের সবাইকে সুখে রাখতেন। তাঁর দুঃখ-কষ্ট দেখে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়েরা এমনিতেই আবেগে কেঁদে ফেলতেন। ফলে তাঁদের দৃষ্টি হতো ঝাপসা। এই সুযোগে পেস বোলিং করে বাপ্পারাজ তাঁদের বোল্ড করে ম্যাচ বের করে আনতেন।


শাকিব খান

আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে বাংলাদেশ অনেক ম্যাচ হারত। যাদের বিপক্ষে ক্রিকেট খেলে হারত শাকিব খান সেই দলগুলোকে খুঁজে খুঁজে বের করতেন। তারপর সেই খুনের, দুঃখিত সেই হারের প্রতিশোধ তুলতেন ব্যাট-বল নিজের হাতে তুলে নিয়ে। খেলার পাশাপাশি বিপক্ষ দলের (ভিলেনের) খেলোয়াড়দের গার্লফ্রেন্ডদের (ভিলেনের মেয়েকে) ভাগিয়ে এনে এক ফাঁকে বিয়েও করে ফেলতেন।


ওমর সানি

মাঠে বসে থাকা মেম সাহেবের জন্য হলেও যেকোনো উপায়ে তিনি ভালো খেলতেন। প্রয়োজনের মুহূর্তে চোটে পড়লেও তাঁকে আটকানোর উপায় থাকত না। শরীরে চাবুকের আঘাত নিয়ে যিনি নায়িকাকে ভিলেনের হাত থেকে উদ্ধার করতে পারেন, ছোটখাটো চোট নিয়ে ভিলেনদের (বিপক্ষ দলের) হাত থেকে ম্যাচ বের করে আনা তাঁর জন্য কোনো ব্যাপারই হতো না।


অনন্ত জলিল

৬ বলে ৭০ রান দরকার। ব্যাট হাতে মাঠে নামতেন অনন্ত জলিল। তাঁকে দেখে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়েরা ভয়ে নো বল দিতে শুরু করতেন। আর অনন্ত জলিল সেসব নো বলেও ছক্কা হাঁকাতেন ধুমসে। এভাবে একসময় দল জিতে যেত। এবং তখনো হাতে থাকত ছয়টি বল! অনন্ত জলিল হতেন সেরা অলরাউন্ডার। প্রয়োজনে খেলোয়াড়ের পাশাপাশি দলের কোচ, নির্বাচক, সভাপতি—এই তিনটি দায়িত্বও পালন করতেন নিজেই।