রোজায় ত্বক স্বাস্থ্যবান রাখার ৭ টি টিপস

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস June 10, 2017 857
রোজায় ত্বক স্বাস্থ্যবান রাখার ৭ টি টিপস

এ বছর রমজান মাস গ্রীষ্মের সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস জুন মাসে হচ্ছে। আমাদের দেশে তীব্র গরমের মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ১৫ ঘন্টার মত সময় ধরে রোজা রাখতে হচ্ছে। গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় রোজা রাখার ফলে এবং তরলের ঘাটতির কারণে ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই এই রমজান মাসে আপনার ত্বকের অতিরিক্ত যত্ন নেয়া প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নিই রোজা রেখেও ত্বক দীপ্তিময় রাখার কিছু উপায়।


১। হাইড্রেশন

পর্যাপ্ত পানি পান করা ত্বকের জন্য উপকারী। ইফতার এবং সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। সোডা এবং জুসের মত কারবোনেটেড ড্রিংক বা চিনিযুক্ত পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন। এর পাশাপাশি ক্যাফেইন গ্রহণ করাও বাদ দিতে হবে, কারণ ক্যাফেইন ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করে। যদি আপনি শুধু পানি পান করা পছন্দ না করেন তাহলে এর সাথে ফল মিশিয়ে নিন। এটি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে উৎসাহিত করবে, শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করবে, আপনাকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে এবং এটি ক্যালোরি মুক্ত। পানির সাথে যে ফলগুলো মিশিয়ে খেতে পারেন সেগুলো হচ্ছে. . .


· লেবু, শসা, পুদিনা


· কমলা, আদা, স্ট্রবেরি


· বাতাবি লেবু, কমলা, লেবু


· আনারস, পুদিনা, কমলা


২। অতিরিক্ত ধোবেন না

রোজা রাখার ফলে আপনার ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থা আরো খারাপ হয় যদি মুখ বেশি বেশি ধোয়া হয়। যদি ত্বক ঠাণ্ডা করার প্রয়োজন হয় তাহলে মুখের একটি স্প্রে (ফেসিয়াল স্প্রে) ঠিক করে নিন এবং সেটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন ও ব্যবহার করুন।


৩। সানব্লক

আপনার ত্বককে সূর্য রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। বাইরে যাওয়ার যময় সানব্লক ব্যবহার করুন যার এসপিএফ অন্তত ৩০ থাকে। যদি আপনি ৩ ঘন্টার বেশি সময় বাইরে থাকেন তাহলে পুনরায় ব্যবহার করুন সানব্লক। মুখার ছিদ্রগুলোকে বন্ধ করা ছাড়াই সানব্লক আপনার ত্বককে পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে।


৪। ত্বক উজ্জ্বল হতে সাহায্য করে এমন খাবার খান

রোজার সময়েও ত্বক স্বাস্থ্যবান রাখতে চাইলে ইফতার এবং সেহরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করুন। ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বেরি জাতীয় ফল, ডালিম, কাঠবাদাম এবং ডার্ক চকলেট খান। সারাদিন রোজা রাখার পরে আপনার শরীরে তথা ত্বকের ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজন। তাই আপনার পছন্দের একমুঠো বেরি ফল যেমন- স্ট্রবেরি খেতে পারেন, যা ভিটামিন ও খনিজের উৎস।


৫। ত্বকের নিরাময়

সপ্তাহে ১/২ দিন ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন। এছাড়াও নিয়মিত এক্সফলিয়েট করুন। আপনার ত্বকের ধরণের উপর নির্ভর করে সপ্তাহে ২ দিন এক্সফলিয়েট করুন। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলোকে পরিষ্কার রাখবে এবং আপনার ত্বক অনেক কোমল ও উজ্জ্বল দেখাবে। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করলে মুখের রক্ত চলাচল ভালোভাবে হয়। পানি ধরে রাখা বা চোখের ফোলা ভাবের বিরুদ্ধেও কাজ করে এটি। এক্সফলিয়েট করার পড়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়।


৬। ময়েশ্চারাইজিং

ত্বক পরিষ্কার করার পরে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে সারাদিনের পানির ঘাটতি পূরণ করা যায়। যাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক তারা ক্রিম বা অয়েল বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তাহলে জেল ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।


৭। সাপ্লিমেন্টস

যদি উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো নেয়ার পরও আপনার ত্বকে নির্দিষ্ট ভিটামিন বা পুস্টির ঘাটতি দেখা যায় তাহলে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। স্বাস্থ্যবান ত্বকের জন্য যে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়া হয় তাতে ভিটামিন সি, ই এবং এ থাকে, এর পাশাপাশি সেলেনিয়াম ও জিংকও থাকে। চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত ডোজ গ্রহণ করুন সেহরি ও ইফতারে।