গ্রীষ্মকালীন ফলের গুণাগুণ

ফলের যত গুন June 10, 2017 917
গ্রীষ্মকালীন ফলের গুণাগুণ

গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশে নানা জাতের সুমিষ্ট রসালো ফল পাওয়া যায়। এসব মৌসুমি ফল যেমন উপাদেয়, তেমনি উপকারী। আসুন জেনে নিই কোন ফলে কী আছে—


আম: এটি ক্যারোটিন-সমৃদ্ধ সহজপাচ্য সুমিষ্ট ফল। আমের আকার ও ধরনের ওপর এর ক্যালরির পরিমাণ নির্ভর করে। একটা মাঝারি আকৃতির আমে ৫০ থেকে ১০০ ক্যালরি আছে। পাকা আমে ৬০ শতাংশ বেশি ক্যারোটিন থাকে। কাঁচা আমে আছে পিকটিন। আম কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। এতে আছে প্রতি ১০০ গ্রামে ৪০০ ইউনিট ভিটামিন এ, প্রায় ১২ গ্রাম শর্করা, ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।


জাম: এই ফলে প্রচুর আয়রন আছে। রক্তশূন্যতার রোগীদের তাই জাম খেতে বলা হয়। এতে শর্করা খুব কম। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। তবে জামে জৈব অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি বলে পেটে গ্যাস হতে পারে। পেট ভার লাগতে পারে। ১০০ গ্রাম জামে শর্করা মোটে ১.৪ গ্রাম, ক্যালরির পরিমাণ ১১, ক্যালসিয়াম ২২ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬০ গ্রাম।


কাঁঠাল: এই ফল বেশ রসালো ও সুস্বাদু। তবে এটি সহজপাচ্য নয় ও পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। ক্যারোটিনসমৃদ্ধ এই ফল রুচি ও শক্তিবর্ধক। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে ৯.৯ গ্রাম শর্করা, ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ৪৮ ক্যালরি শক্তি আছে।


লিচু: এই ফলে জলীয় অংশ অনেক। এটা শরীরের পানির চাহিদা ও পিপাসা মেটায়। ১০০ গ্রাম লিচুতে ১৩.৬ গ্রাম শর্করা আছে। ক্যালসিয়াম আছে ১০ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৩১ মিলিগ্রাম।