মোগল স্থাপত্যের বজরা শাহি জামে মসজিদ

দেখা হয় নাই June 9, 2017 1,191
মোগল স্থাপত্যের বজরা শাহি জামে মসজিদ

মোগল স্থাপত্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তেমনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মোগল স্থাপত্যশিল্পের নিদর্শন ‘বজরা শাহি মসজিদ’ অবস্থিত।


মোগলসম্রাট মুহাম্মদ শাহের আমলে ১৭৪১ সালে পরগনার জায়গিরদার আমান উল্লাহ ও সানা উল্লাহর তদারকিতে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মসজিদটি দিল্লি শাহি মসজিদের অনুকরণে মোগল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মাণ করা হয়।


মসজিদের নামকরণের ইতিহাস খুঁজে জানা যায়, ইরান থেকে আসা বিশিষ্ট ধর্মপ্রচারক উমর শাহ বজরায় বা ছোট রাজকীয় নৌকায় চড়ে এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আসেন। তাই এর নাম বজরা শাহি মসজিদ।


পরে ১৯২৮ সালের দিকে বজরার জমিদার খানবাহাদুর আলী আহমদ ও খানবাহাদুর মুজির উদ্দীন এই মসজিদের সংস্কারকাজ হাতে নেন। বর্তমানে মসজিদটি চিনামাটির প্লেট, পেয়াল ও ছোট-বড় নানা রঙের কাচের টুকরার সমন্বয়ে এক বিশেষ পদ্ধতিতে অলংকৃত করা হয়েছে। এই পদ্ধতিকে চিনিদানার কাজ বা চিনিডিক্রি বলা হয়।




অর্ধগম্বুজাকার এই মসজিদে রয়েছে তিনটি গম্বুজ ও একটি মনোরম তোরণ। প্রবেশপথের ওপর বহু গম্বুজ রয়েছে। মূল গম্বুজ তিনটি মার্বেল পাথার দ্বারা অলংকৃত করা হয়েছে।

মসজিদটির বয়স ২৭৫ বছর। ১৯৯৮ সালের ২৯ নভেম্বর মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধিভুক্ত হয়। প্রতিদিন অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক মসজিদটি দর্শনে আসেন।


যাবেন কীভাবে?

ঢাকা থেকে যেতে হলে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে নোয়াখালীর চৌমুহনী। বাস ভাড়া নেবে ৩৫০ টাকা। সেখান থেকে নেমে সিএনজি কিংবা অটোতে চেপে বজরা শাহি জামে মসজিদ। যেতে পারেন ট্রেনেও। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকালে নোয়াখালীর উদ্দেশে ‘উপকূল’ ট্রেন ছাড়ে। ওই ট্রেনে চেপে চৌমুহনী। এর পর সেখানে থেকে আবার সিএনজিতে করে বজরা বাজারে অবস্থিত মসজিদটিতে যেতে পারবেন।