প্রসাধনী আসল না নকল চিনবেন যেভাবে

টুকিটাকি টিপস June 8, 2017 1,411
প্রসাধনী আসল না নকল চিনবেন যেভাবে

নারীদের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী বিভিন্ন রকমের প্রসাধনী। লিপস্টিক, নেইলপলিশ, কাজল ইত্যাদি বিভিন্ন পণ্য আমরা প্রায়ই কিনে থাকি। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই আমরা কষ্ট করে পয়সা খরচ করে নকল পণ্য কিনে ফেলি।


কারণ আজকাল নামিদামি ব্র্যান্ডের লেভেলের নিচে নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি নকল প্রসাধনী প্রোডাক্টে বাজার ছেয়ে গেছে। অনেক অর্থ ব্যয় করে নকল প্রসাধনী কিনে নিজেকে ভিক্টিম বা বোকা মনে হলেও স্বাস্থ্যের জন্য এই নকল প্রোডাক্টগুলো ক্ষতিকর।


আরর নিম্নমানের প্রসাধনী ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আর এগুলো প্রতিনিয়ত ব্যবহারে স্কিন ডিজিস, অ্যালার্জি ও স্কিন ক্যান্সারের হবার সম্ভবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু কিভাবে চিনবেন আসল আর নকল প্রসাধনী। হ্যা, একটু সচেতন হলে আসল প্রোডাক্ট চিনতে পারবেন। আজ পাঠকদের জন্য তেমনি কিছু কৌশল দেয়া হলো, যা আপনাদের নকল প্রসাধনী চিনতে সাহায্য করবে।


# আজকাল এমন উপায়ে নকল কসমেটিক তৈরি হচ্ছে যা খুব বিচক্ষণতার সাথে পর্যবেক্ষণ না করলে ধরা খুবই মুশকিল।


নকল কসমেটিক আইডেন্টিফাই করবেন কীভাবে? সহজ উপায় হল, কসমেটিক ব্র্যান্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে যে প্রোডাক্টটি কিনবেন তার আসল ‘চেহারাটা’ দেখে নিন।


প্রয়োজন হলে একটি ছবিও সাথে রাখুন। কেনার সময় ছবির সাথে ভালো করে মিলিয়ে নিন।




# প্যাকেজিংটা বিচক্ষণতার সাথে পর্যবেক্ষণ করুন। খুব ছোট ছোট ব্যাপারগুলো খেয়াল করুন। ফন্ট, সাইজ এবং প্যাকিজিং কালারটাও মিলিয়ে নিন। এমন কি নকল পণ্যগুলোর ওজনেও ঘাপলা থাকে। যদিও শপে দাড়িয়ে প্রোডাক্টের ওজন মাপা একটু অদ্ভুত লাগতে পারে কিন্তু হাত দিয়ে ধরেও আপনি ওজনটা বুঝতে পারবেন।


# প্রোডাক্টের গায়ে লিখা সিরিয়াল নাম্বার, বার কোড এবং ম্যানুফ্যাকচারিং তথ্য সমূহ ভালো করে দেখে নিন। নকল প্রোডাক্ট হলে বার কোডের প্রথম তিনটি ডিজিট উৎপাদনকারী দেশের কোডের সাথে ম্যাচ করবে না। বেশির ভাগ সময় ফেইক কসমেটিকসের গায়ে সিরিয়াল নাম্বার থাকে না। সিরিয়াল নাম্বার পেয়ে থাকলেও চোখ বন্ধ করে কিনে ফেলবেন না যেন!


প্রোডাক্টের গায়ে থাকা সিরিয়াল নাম্বরের সাথে প্যাকেটের সিরিয়াল নাম্বার মিলিয়ে নিন। মিলে গেলে তবেই কিনুন।15970379_1831519307123792_720022598_n


# জেনুইন হাই এন্ড কসমেটিক ব্র্যান্ডগুলো প্রোডাক্ট সম্পর্কিত তথ্যগুলো কয়েকটা ভাষায় দিয়ে থাকে। আর একটি ব্যাপার লক্ষ্য রাখবেন, প্রোডাক্টে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর উল্লেখ রয়েছে কিনা।




# নকল পণ্য উৎপাদনকারীরা অনেক সময় এমন সব কালারের লিপস্টিক, আইশ্যাডো, ব্ল্যাশ থেকে শুরু করে ব্রাশ, ব্লেন্ডারগুলো এমন সব কালারের তৈরি করে যা রিয়েল ব্র্যান্ডগুলো করেনি। কাজেই কসমেটিক কেনার সময় রিয়েল প্রোডাক্টের কালারের সাথে মিলিয়ে দিন। কালার মিললে তবেই কিনুন। সেক্ষেত্রে কসমেটিক ব্র্যান্ডের অফিশিয়াল পেজে প্রোডাক্টটি দেখে নিন।


# আসল কসমেটিকগুলোতে বিশেষ করে যেগুলো ম্যাট সেগুলোতে কোনরকম অহেতুক স্ট্রং স্মেল এবং স্পার্কেল থাকে না। অন্যদিকে ক্রিমি কসমেটিকগুলোর উপাদানগুলো আলাদা হয়ে যায় না। ফেক লিপ গুলো দেখতে কম অ্যাট্রাকটিভ এবং কোন না কোন খুত থাকবে।15978320_1831519313790458_1093184214_n




# যদি মাশকারার কথা বলি তাহলে জেনুইন ডিজাইনার মাশকারা খুব হালকা সুগন্ধের হয়ে থাকে। যেকোনো কসমেটিক প্রোডাক্ট যদি বাজে গন্ধ অথবা হেভিলি পারফিউমড হয়ে থাকে তবে বুঝে নিতে হবে সেটা ফেইক।


# নকল প্রোডাক্টের শেপেও বেশিরভাগ সময় সমস্যা থাকে। কাজেই প্রোডাক্ট কিনবার আগে সাইজ, শেপ দেখে নিন। ডি-ফর্মড প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন। আইশ্যাডো এবং ব্লাস কেনার সময় টেষ্টার ব্যবহার করবেন অবশ্যই। রিয়েল কসমেটিকগুলো দিনের বেলায় সরে যায় না।


# জেনুইন লিপস্টিকগুলো স্মুদলি এবং ইভেনলি ঠোঁটে লেগে যায়। ভালো মানের মাশকারাগুলো দেয়ার পর গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে পরে না। প্রোডাক্ট কেনার আগে কন্সিস্টেন্সি (ঘনত্ব) দেখে কিনুন। খুব বেশি ঘন বা পাতলা কিনার সময়ে দেখুন।