ইফতারে রাখুন পুষ্টিকর আঙুর

ফলের যত গুন June 5, 2017 925
ইফতারে রাখুন পুষ্টিকর আঙুর

তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও গরমের পেরেশানি খুব একটা কমেনি। দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ছেই। এমন দিনে ইফতারে চাই পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে ভাজাপোড়া না খাওয়াই ভালো। বরং বুদ্ধিমানের কাজ হবে ফলমূলে মনোযোগী হওয়া। তাই রমজানজুড়ে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন ফলের পুষ্টিগুণ। আজ থাকছে আঙুরের পুষ্টিগুণের কথা-


ভিটামিন-খনিজে ভরপুর

আঙুরে আছে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘বি-৬’ আর ফোলেট। আরো আছে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম আর সেলেনিয়ামের মতো অতি জরুরি খনিজ। সবগুলোই স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়।


অ্যাজমা

আঙুর এই রোগে থেরাপির মতো কাজ করে। অ্যাজমার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অনেক আগে থেকেই আঙুরের ব্যবহার চলে আসছে। এর উপচে পড়া রস ফুসফুসে ময়েশ্চার বাড়ায় এবং অ্যাজমেটিক বৈশিষ্ট্যকে প্রশমিত করে।


হাড়

কপার, আয়রন আর ম্যাঙ্গানিজ এ ফলে মাইক্রো পুষ্টি উপাদান হিসেবে বিরাজ করে। এগুলো হাড় সুগঠিত ও শক্তিশালী করতে ব্যাপক কাজের। নিয়মিত আঙুর খেলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে আসে।


হৃদরোগ

রক্তে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ায় আঙুর। এতে রক্ত জমাট বাঁধে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে যায়। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এলডিএল কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন রোধ করে, যা রক্তবাহী শিরা সংকুচিত করে দেয়। আঙুরের অনন্য রং ও গন্ধ রয়েছে, যার পেছনে কাজ করে উচ্চমাত্রার ফ্লেভনয়েড। এটাও ক্ষমতাশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যার প্রধান দুটি উপাদান হলো রেসভেরাট্রোল ও কোয়ের্সেটিন। এরা রক্তশিরায় ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের কার্যক্রম বন্ধ করে।


মাইগ্রেন

এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে পুরনো আমল থেকেই পাকা আঙুরের রস বেছে নেওয়া হচ্ছে। এ ফলের বিচির নির্যাসও মাইগ্রেন সারাতে বেশ কার্যকর বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।


অবসাদ

হালকা মানের সাদা আঙুরের রসে রয়েছে প্রচুর আয়রন। এটি অবসাদ ভাব দূর করে। অনেক মানুষের বড় এক সমস্যা রক্তস্বল্পতা। আঙুর খেলে দেহে আয়রন ও খনিজে ভারসাম্য আসে।


ডায়াবেটিস

বেষণায় দেখা গেছে, আঙুরের ত্বকের নির্যাস ডায়াবেটিস সামলাতে কাজ করে।


কিডনি

ইউরিক এসিডের অম্লভাব কমায় আঙুর। কাজেই কিডনির ওপর চাপ কমে এবং অস্থির অবস্থা দূরীভূত হয়। আঙুরের রস মূত্র উৎপাদন করে এবং তা দেহের এসিড বের করে নিয়ে যায়। কিডনি ও দেহ পরিষ্কারে ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে আঙুর।


ম্যাকুলার ডিজেনারেশন

বয়স হয়ে গেলে দৃষ্টিশক্তি কমে আসা কিংবা ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো রোগ সামলাতে আঙুর খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক মুঠো আঙুর ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি হ্রাস করে ৩৬ শতাংশ।