১৮ বারের পর শেষপর্যন্ত মা হলেন এই নারী

সাধারন অন্যরকম খবর June 2, 2017 1,294
১৮ বারের পর শেষপর্যন্ত মা হলেন এই নারী

আশাই প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ভারতের আগ্রার কৃষক প্রেম কুমার ও তাঁর স্ত্রী রজনী। এক কিংবা দুই নয় গত কুড়ি বছর ধরে ১৮ বার গর্ভপাতের যন্ত্রণা সইতে হয়েছে ৩৮ বছরের রজনীকে। ফের যে কখনও তিনি মা হতে পারবেন, সে বিশ্বাসই হারাতে বসেছিলেন আগ্রার গৃহবধূ।


কিন্তু বিশ্বাসেই তো মিলায় বস্তু। তাই শেষ একবার চেষ্টা করে দেখতে চেয়েছিলেন প্রেম কুমার। তাতেই মিলল বহু আকাঙ্খিত সেই ফলটি। আর এটিই সম্ভবত তাঁদের জীবনের সেরা পাওনা।


১৮ বারের গর্ভপাতের যন্ত্রণার পর অবশেষে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিলেন আগ্রার মহিলা।


১৮ বছর বয়সে প্রথমবার গর্ভবতী হয়েছিলেন রজনী। সেই সময়ই প্রথম ধাক্কাটা সইতে হয়েছিল তাঁকে। জানা যায়, অপরিণত জরায়ু নিয়ে জন্মেছেন রজনী। তাই তাঁর গর্ভের পক্ষে সন্তানের ভার নেওয়া সম্ভব নয়। উপায় কি নেই?


উত্তরে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও একটু আশা রয়েছে। সেই আশার জোরেই গত ২০ বছরে ১৮ বার গর্ভধারণের চেষ্টা করে গিয়েছেন রজনী। আর এর জন্য বহু হাসপাতালের দোরে দোরে ঘুরেছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত আগ্রার এক বেসরকারি হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ডা. অমিত ট্যান্ডন ও ডা. বৈশালির দ্বারস্থ হন দু’জনে।


ল্যাপারোস্কোপিক সার্জেন অমিত ও আইভিএফ স্পেশ্যালিস্ট বৈশালিই অসাধ্যকে সাধন করে দেখিয়েছেন। কীভাবে?


ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমেই রজনীর গর্ভে ভ্রুণের অবস্থান ঠিক রাখা হয়েছিল। যার ফলে ১৮ বারের ব্যর্থতার পর মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন ৩৮ বছরের মহিলা। আর প্রেম কুমার পেয়েছেন জীবনের সেরা পাওনা।


এতদিন বাদে কাঙ্খিত ফল পেয়ে আবেগে আপ্লুত আগ্রার দম্পতি। ডাক্তার যুগলকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই তাঁদের কাছে। আছে কেবল আনন্দাশ্রু। যা সন্তানকে প্রথমবার দেখে গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়েছিল প্রেম ও রজনীর।


অমিত-বৈশালির কাছেও ভাষাতীত এই অভিজ্ঞতা। তাঁদের মতে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের নয়া অধ্যায়ের সূচনা হল এই শিশুর জন্মে। তাই এই অধ্যায়কে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানাবেন তাঁরা।