ঢাকার আশেপাশে ১০ রিসোর্টের তথ্য এক নজরে

দেখা হয় নাই May 31, 2017 1,394
ঢাকার আশেপাশে ১০ রিসোর্টের তথ্য এক নজরে

এই গরমে বা শীতের দিনে ঢাকার আশে পাশে ছোট একটা ছুটি কাটাতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। আর এই ছুটি কাটাতে আমাদের জানা প্রয়জন পড়ে কোথায় গেলে এই ছুটি ভালো ভাবে কাটানো যায়। আর এর ছুটি কাটানোর জন্য আমাদের প্রয়জন পড়ে একটি সুন্দর ছিমছাম রিসোর্টের। আজ আমাদের পাঠকের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ঢাকার কাছা-কাছি মোট ২১ টি রিসোর্টের তথ্য। আজ আমরা ২য় পর্বে আছে ১০ রিসোর্টের তথ্য যা আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি। যা কিনা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য অনেক কাজে লাগতে পারে।


১২. অঙ্গনা: গাজীপুর

গাজীপুরের সুর্য্যনারায়নপুর, কাপাসিয়া থানায় অবস্থিত অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হওয়ায় এই রিসোর্টের নামকরণ করা হয়েছে অঙ্গনা। গ্রামীণ সৌন্দর্যের বেসরকারি রিসোর্টস অঙ্গনার মালিক উপমহাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার ভাই সৈয়দ আলী মুরাদ ২০০৪ সালে ১৮ বিঘা জমির ওপর এটি নির্মাণ করেন। যার অবস্থান গাজীপুরের কাপাসিয়ার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে। নগর জীবনে একাধারে চলতে চলতে ক্লান্তি এসে যায় মনে। আর এই ক্লান্তি দূর করতে রাজধানীর অদূরে কাপাসিয়ার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে বেসরকারি এই রিসোর্ট অঙ্গনা বাকী জানতে ওয়েবসাইট ভিসিট করুন।


১৩. ফ্যান্টাসি_কিংডম আশুলিয়া

আশুলিয়ার জামগড়ায় গড়ে উঠেছে বিশ্বের আধুনিক সব রাইড নিয়ে বিনোদনকেন্দ্র ফ্যান্টাসি কিংডম। পাশেই হেরিটেজ পার্কে আছে ঐতিহ্যের পরিপূর্ণ ভাণ্ডার। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর অনেকগুলোই চোখে পড়বে এখানে। এগুলো মূল স্থাপনার অবিকল আদলেই তৈরি করা হয়েছে হেরিটেজ পার্কে। এ জায়গা দুটিতে বনভোজন করার জন্য রয়েছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। ফোন: ৭৭০১৯৪৪-৪৯।


১৪. রিসোর্ট আটলান্টিস, আশুলিয়া

ওয়াটার কিংডমের ভিতরে অবিস্থিত রিসোর্ট আটলান্টিস, মোহাম্মদী গার্ডেন, মহিশাষী, ধামরাই এ অবস্থিত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ধামরাইয়ের মহিষাশী। এখানেই এই গার্ডেন অবস্থিত। নিজে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না এটা একটা স্বপ্নপুরী নাকি স্বর্গভূমি। বিনোদনের জন্য গার্ডেনের ভিতরে রয়েছে পুকুর। সেই পুকুরে ভেসে বেড়াচ্ছে নৌকা, কাঠের রাজহাঁস, মাটির শাপলা। ফোন: ০১৭১৭৩৭৪৯০৪, ০১১৯০২৩৭০৬২।


১৫. হাসনাহেনা গাজীপুর

ঢাকার পাশেই গাজীপুর জেলার পুবাইল কলেজগেটে অবস্থিত তেমনি একটি বেসরকারি বিনোদন পর্যটন কেন্দ্র হাসনাহেনা। টঙ্গী থেকে এর দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কিংবা অফিস বা সংগঠনের দিনব্যাপী পিকনিক বা বনভোজনে এখানে আসা যেতে পারে অনায়াসে। যোগাযোগ :হাসনাহেনা, হাড়িবাড়ীর টেক, পুবাইল কলেজগেট, পুবাইল গাজীপুর। ফোন: ০১১৯৯৮৭৫৫৭৬, ০১৯১১৪৯৫১২৩, ০১৭১৪০০৩১০৩, ০১৭৩৬৬৭২৪০৮।


১৬. সোহাগপল্লী

১১ একর উঁচু-নিচু জমিতে সবুজে ঘেরা এই রিসোর্টের অন্যতম আকর্ষণ হলো জলাশয়ের ওপর নির্মিত অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত ঝুলন্ত সাঁকো আর এর পিলার ও বেলকনিতে খোঁদাই করা বিভিন্ন কারুকাজ- যা আগত দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। বিশাল এক জলাশয়ের মাঝখানে ঝুলন্ত সাঁকো থাকায় দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে বেশি। জলাশয়ের পূর্ব পাশে রয়েছে একটি দ্বিতল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টটির নাম রাখা হয়েছে মেজবান। শুধু তাই নয়, কৃত্রিমভাবে একটি লেক নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে বর্ষা বা শুষ্ক সবসময়ই পানি থাকে। আর এই লেকের পানিতে বিভিন্ন জাতের মাছের বিচরণ দেখা যায়। ফোন: ০১৭১২০৪৯৯০৩-০৪,০১৬১২০৪৯৯০।


১৭. আনন্দ রিসোর্ট

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পরিচিত রিসোর্ট হলো আনন্দ। আনন্দ রিসোর্টটি নামের সঙ্গে বেশ আবেগের মিল রেখেছে। আনন্দদানের সব উপকরণই এখানে জোগাড় করার চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু চোখে দেখে নয়, বরং বিভিন্ন খেলার রাইডে চড়ে আনন্দের দেখা মিলবে এখানে। বিলঘেঁষা এই আনন্দ রিসোর্টের বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে সরাসরি বিল থেকে মাছ শিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। মাছ শিকারিদের জন্য এই সুযোগ অবশ্যই বাড়তি পাওনা। ছিপ ফেলে মাছের জন্য অপেক্ষায় কাটবে সময়। এ ছাড়া রয়েছে ছোটদের খেলার নানা উপকরণ। একটি সুইমিং রয়েছে। ৪২ বিঘা উঁচু-নিচু টিলা ভূমিতে গড়ে তোলা হয় আনন্দ রিসোর্ট। কালিয়াকৈরের সিনাবহের তালতলি এলাকায় এর অবস্থান। বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ ও ৬টি কটেজ রয়েছে এখানে।


ভাড়া : কটেজগুলোর প্রতিকক্ষ ২৪ ঘণ্টার ভাড়া ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। পিকনিক বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া পড়বে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। যেভাবে যাবেন : নিজস্ব পরিবহন বা যাত্রীবাহী বাসে করে গাজীপুরের চৌরাস্তা হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উঠতে হবে। এই মহাসড়ক ধরে সফিপুর বাজার যেতে হবে। সেখান থেকে ২ কিলোমিটার উত্তরে সিনাবহ বাজারের পাশে এই রিসোর্টের অবস্থান। ফোন: ০২-৯১২৫৭৭৮,০১৯১৯৩১৮০০৯, ০১৬৭০২৭৫৮৬৪।


১৮. জল জঙ্গলের কাব্য, পূবাইল

ঢাকার অদূরে পূবাইলে ৯০ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে একটুকরো গ্রাম। বাঁশ আর পাটখড়ির বেড়া, উপরে ছনের ছাউনি, সামনে দিগন্ত বিস্তৃত জলের নাচন। এটা তেমন আধুনিক জায়গা নয় কিন্তু পরিচ্ছন্ন এবং গ্রাম-বাংলার একটা ছোয়া আছে এর আদলে। অবশ্যই ভাল লাগবে ঘুরে আসুন। ফোনঃ০১৯১৯৭৮২২৪৫, ০১৭১৯৫২৩০১৬।


১৯. আরশিনগর হলিডে রিসোর্ট

ঢাকা থেকে মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের ভাওয়ালে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হলিডে রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট। ভাওয়ালের গ্রাম ও শালবনের মাঝে অসাধারণ প্রাকৃতিক আবহাওয়ায় আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে সাজানো আরশিনগর। অফিষ: ২১/১ ইস্কাটন গার্ডেন , ফ্লাট ৪/এ , রমনা ঢাকা, ফোনঃ৯৩৪৪৮৮৯। রিসোর্ট অফিস পাজৃলিয়া, জয়দেবপুর, গাজীপুর। ফোন : ০১৭৩২৩৫৪০০৭, ০১৯২৩১১৭০৫৬।


২০. ড্রিম স্কয়ার

গাজীপুরের মাওনার অজহিরচালা গ্রামে ড্রিম স্কয়ার নামে বিশালাকৃতির বেসরকারি রিসোর্ট রয়েছে। ১২০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট। এর প্রধান আকর্ষণ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজের সমারোহ। ড্রিম স্কয়ারের আকর্ষণীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে তেলের ঘানি, ডেইরি ফার্ম, মৎস্য হ্যাচারি, কম্পোস্ট সার প্লান্ট, বায়োগ্যাস প্লান্ট। ড্রিম স্কয়ারের আলাদা বৈশিষ্ট্য হলো রেস্টুরেন্টের খাবারের সবজি এর ভেতরেই চাষাবাদকৃত, যা সম্পূর্ণ সার ও কীটনাশকমুক্ত।


রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বিশালাকৃতির কয়েকটি লেক। রয়েছে ১৬টি ছোট-বড় পুকুর। ভেতরে সবুজে বেষ্টিত বাগানের মাঝখানে রয়েছে জাতীয় মাছ ইলিশের দুটি প্রতিকৃতি। আর বিভিন্ন গাছে রয়েছে বানরের প্রতিকৃতি। এখানে নানান প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রম রয়েছে। ড্রিম স্কয়ারে প্রতি বছর শীতের সময় অতিথি পাখির মেলা বসে। আছে একটি রেস্টুরেন্ট, রয়েছে ওয়াই-ফাই সুবিধা। এখানে সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা। ফোনঃ৮৮০-০২-৯৩৩৪১৪৯, ৯৩৪২২০৩, ০১৭৫৫৬৩০৩৩১১।


২১. গ্রীনটেক রিসোর্ট

২০১০ সালে গাজীপুর জেলার ভবানীপুরে প্রায় ৬ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত গ্রীনটেক রিসোর্ট। এখানে রয়েছে ৭৩টি রুম, একটি অডিটেরিয়াম, দুটি কনফরেন্স রুম, একটি সুমিং পুল, দুটি ডায়নিং হল, আর দুটি পুকুর। সম্পূর্ণ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এখানে রয়েছে ইনডোর, আউটডোর গেমের সকল সুবিধা। পুরো রিসোর্টটি রয়েছে ওয়াই ফাই সংযোগ। এখানে সর্বনিম্ন তিন হাজার থেকে সর্বচ্চো দশ হাজার টাকা পর্যন্ত রুম ভাড়া পাওয়া যায়। যোগাযোগ: হোটেল রেডিয়াল প্যালেস,রোড-৮, ব্লক-সি,বনানী, ঢাকা। ফোন: ০১৭১৫১০৫৭৭০,০১৯১৯৩১৮০০৯।