রমজান মাসের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 30, 2017 826
রমজান মাসের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ

রমজান মানেই আলাদা রুটিন আর আলাদা প্রস্তুতি। আর সব প্রস্তুতির মূলেই থাকবে নিজেকে সতেজ রাখা, সুস্থ রাখা। তাই রমজানে নিজেকে সুস্থ রাখতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম।


১. বছরের অন্যান্য সময় সকাল-দুপুর-রাতে আমরা যে খাবার খাই, তা-ই এখন খাব ইফতার-রাতের খাবার-সেহরিতে। সুতরাং সারা দিনের খাবার এবং পুষ্টির চাহিদাটা আমাদের এই সময় পূরণ করে নিতে হবে। খাবারের মেন্যু নির্বাচনে তাই হতে হবে সচেতন।


২. ডি-হাইড্রেশন যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জ্যুস, ডাবের পানি, ড্রিংকস এসব খেতে হবে বেশি বেশি। তবে রাস্তায় বিক্রি হওয়া যে কোনো ড্রিংকস পরিহার করতে হবে।


৩. তেলে ভাজা খাবার কম খেতে হবে। এতে ডায়রিয়া, বদ হজম ও গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার একান্তই খেতে ইচ্ছা করে, তবে রাতের খাবারের আগে বা পরে খেতে পারেন, কিন্তু ইফতারে একদমই নয়। তবে তা অবশ্যই পরিমিত হতে হবে।


৪. শারীরিক পরিশ্রম কম করবেন। রোদে কম যাবেন, গেলেও ছাতা ব্যবহার করুন। ইফতারের পর থেকে পানি খাবেন বেশি বেশি।


৫. এখন অনেকেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তাদের শারীরিক দূর্বলতাও থাকছে অনেক বেশি। তারা শরীর স্বাস্থ্যর দিকে বেশি মনোযোগী থাকবেন এসময়। রোজা যদিও একটা ধর্মীয় অনুভূতির সাথে সম্পৃক্ত, তবুও শরীর সাপোর্ট না দিলে তো আসলে কিছু করার নেই। তাই বাদ যাওয়া রোজাগুলো আপনি পরেও করে নিতে পারেন।


৬. স্যালাইন খেতে পারেন তবে এক/দুইটার বেশি না। স্যালাইনে এক্সট্রা লবণ থাকে। আর লবণ পানিকে ধরে রাখে। তাই যাদের ডি-হাইড্রেশন নেই বা প্রেসার বা হার্টের অসুখে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটা সমস্যা করবে। কারণ এতে অতিরিক্ত পানি শরীরে জমা হয়ে শরীর ফুলে যাবে।