যে খাবারে রয়েছে ক্যান্সারের জীবাণু

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 29, 2017 724
যে খাবারে রয়েছে ক্যান্সারের জীবাণু

আপনার খাবার ঘরে নিচে জিনিসগুলোর অবশ্যই দেখা মিলবে। এ খাদ্যে এমন কিছু উপাদান আছে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।


সাদা ময়দা : ময়দা সাদা করার জন্য গমকে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং তাতে ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়। এই একই ক্লোরিন কাপড়ের রং ওঠাতেও ব্যবহার করা হয়। ক্লোরিন ব্যবহারের ফলে খাদ্যের পুষ্টিগুণ কমে যায়।


লবণাক্ত স্ন্যাকস : পটেটো বা আলুর চিপসে অতিরিক্ত লবণ থাকে। খুব বেশি চিপস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য সব ধরনের উপাদান রয়েছে চিপসে। চিপসকে মচমচে করতে যে অ্যাক্রিলামাইড ব্যবহার করা হয়, সেই একই উপাদান পাওয়া যায় সিগারেটেও।


লাল মাংস : অল্প মাত্রায় এ ধরনের মাংস খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়। লাল মাংস যদি খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে কোলন বা প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের


ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, রেড মিট বা গরু, ছাগল এবং ভেড়ার মাংসে এক ধরনের সিলিসিক অ্যাসিড থাকে, যেটা ক্যান্সারের কারণ।


কোমল পানীয় : কোমল পানীয়তে উচ্চ মাত্রায় চিনি রয়েছে, যা কৃত্রিমভাবে রং করা। এ ধরনের কোমল পানীয় ভীষণ ক্ষতিকর। এছাড়া কৃত্রিম সুইটেনারে বেশি মাত্রায় সোডিয়াম থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও মাদক প্রশাসন জানিয়েছে, এসব কোমল পানীয় গ্রহণ করলে মানুষের মস্তিষ্ক রাসায়নিক দ্রব্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।


ভেজিটেবল তেল : সূর্যমুখী তেলে এক ধরনের রং ব্যবহার করা হয়, যাতে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে। এই তেলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর। কিন্তু তেলে যদি রঙের পরিমাণ বেশি হয়, তবে তা স্তন ও প্রস্টেট ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। ক্লিনিকাল ইনভেস্টিগেশন জার্নালে সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।


প্রক্রিয়াজাত মাংস : সসেজ, নানা রকম সালামি- এগুলো দেখতে এবং খেতে ভালোই লাগে। এগুলো সংরক্ষণের জন্য উচ্চমাত্রার প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। যাত বেশি প্রিজারভেটিভ থাকে খাবারে বিষাক্ত সোডিয়াম নাইট্রেটের পরিমাণ তত বেড়ে যায়। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।


নন-অরগ্যানিক ফল : যেসব ফলের বাগানে সার হিসেবে নাইট্রোজেন ব্যবহার হয় এবং গাছে পোকা মারার বিষ দেয়া হয়, সেইসব ফল খাওয়া খুবই বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে মাত্রা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, তা না


মেনে অতিরিক্ত পরিমাণে নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই এ রকম নন-অরগ্যানিক ফল বেশি খেলে দীর্ঘদিন পর এর ক্ষতিকর প্রভাব শরীরেও দেখা যায়।