দুধ ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন রোগের ঝুঁকি কমায়

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 26, 2017 875
দুধ ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন রোগের ঝুঁকি কমায়

দুধ যে খাবারের কোন তুলনা হয় না, পরিপূর্ণ পুষ্টির অপর নাম দুধ। দুধের সুনাম সুপ্রাচীন। আর এ সুনামের সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে অসংক্রামক রোগের বিপরীতে এর কার্যকারিতাও।


বিজ্ঞানীরা বলছেন, দৈনিক এক গ্লাস দুধ ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। খবর দ্য স্ট্রেইট টাইমস।


ডিউক-নাস মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা সম্প্রতি শরীরে দুধের কার্যকারিতার ওপর একটি গবেষণা চালান। যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত এ মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা দেখেন যে, নিয়মিত দুধ পান করেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। এ-বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনটি গত মঙ্গলবার প্রকাশ হয়েছে।


গবেষণা প্রতিবেদনমতে, প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন ২৪০ এমএল (মিলিলিটার) করে দুধ পান করলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে ১২ শতাংশ। এতে একই সঙ্গে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমে ৬ শতাংশ।


শুধু দুধ নয়, মাখন, আইসক্রিমের মতো দুগ্ধজাত বিভিন্ন খাদ্যের কার্যকারিতা নিরূপণেও একটি পরীক্ষা চালান গবেষকরা। এক্ষেত্রেও ইতিবাচক ফল পান তারা। গবেষণার তথ্যমতে, দৈনিক বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণের ফলে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমে। বিশেষত দিনে যারা ২৫২ গ্রাম দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ করেন, তাদের হাইপারটেনশনের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ১১ দশমিক ৭ শতাংশ কম।


গবেষণায় মোট ৬৩ হাজার চীনা নাগরিকের স্বাস্থ্য তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। বর্তমানে ৪৫-৭৪ বছর বয়সী এসব নাগরিকের খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত এসব তথ্য ১৯৯৩ সাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এসব তথ্য পর্যালোচনার মাধ্যমেই গবেষকরা বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের বিপরীতে দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যের কার্যকারিতার বিষয়টি নিরূপণ করেন।


একই ধরনের গবেষণা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চলে হলেও এটিই এ-সম্পর্কিত সবচেয়ে বিস্তৃত পরিসরের গবেষণা। প্রধান গবেষক অধ্যাপক কোহ উন পুয়ে বলেন, গবেষণায় একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ অংশগ্রহণ করলেও এর ফলাফল সব অঞ্চলের মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।


গবেষণায় অসংক্রামক রোগের বিপরীতে দুধের ইতিবাচক ভূমিকার তথ্য উঠে এলেও এক্ষেত্রে কোন ধরনের দুধ বেশি কার্যকর, তা জানাননি গবেষকরা। অর্থাৎ নিম্নননিযুক্ত, নাকি উচ্চননিযুক্ত, নাকি কোনো ধরনের প্রক্রিয়া করা হয়নি এমন দুধ বেশি কার্যকর, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য এ গবেষণায় নেই।