কিডনিতে পাথর? ভয় না পেয়ে এগুলো করুন

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 26, 2017 837
কিডনিতে পাথর? ভয় না পেয়ে এগুলো করুন

আজকের দিনে কিডনিতে পাথরের সমস্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্পবয়সিরাও এর প্রকোপের বাইরে নন। অনিয়মিত জীবন, জল কম খাওয়া, অতিরিক্ত নুন এবং আমিষ খাবার খাওয়া ইত্যাদি এর কারণ হিসাবে মনে করা হয়। মনে রাখবেন, কিডনি আমাদের শরীরকে পরিষ্কার করে।


তাই প্রতি দিন যদি ঠিক মতো জল না পান করেন তবে ভবিষ্যতে এর সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাঁদের একবার কিডনিতে পাথর হয়, তাঁদের ফের হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। দেখে নিন কী কী করলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়।


১) পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করুন: দিনে অন্তত ৩ লিটার জল পান করুন। গরমের সময় আরও বেশি পান করতে হবে। কারণ শরীর থেকে ক্রমাগত জল বেরিয়ে যায়। শরীরের যাবতীয় টক্সিন কিডনিতে গিয়ে জলের মাধ্যমে ধুয়ে তা প্রধানত মূত্র রূপে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান না করলে কিছু টক্সিন কিডনিতেই থেকে যায়। তবে একবারে বেশি জল পান করবেন না। এতে ক্ষতি হয়।


২) ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খান: সাধারণ ভাবে মনে করা হয় ক্যালসিয়াম জমা হয়েই কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। এটা আংশিক সত্যি। তার মানে এটা নয় যে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হবে। উল্টে যদি না খান তা হলে এর সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে প্রাকৃতিক ভাবে খাবারের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন। এতে ভালো কাজ হবে। দিনে অন্তত একটি পাতিলেবুর রস খান।


৩) নুন খাওয়া কমিয়ে দিন: বেশি মাত্রায় নুন খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নুনে থাকা সোডিয়াম কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ২,৩০০ mg-এর বেশি নুন কখনই খাওয়া উচিত নয়। যাঁদের আগে একবার পাথর হয়ে গিয়েছে, তাঁরা ১,৫০০ mg-এর বেশি কখনই খাবেন না।


৪) নিরামিষ বেশি খান: যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের জন্য কিডনিতে পাথর হয়েছে বিশেষত তাঁরা আমিষ খাওয়া একেবারে কমিয়ে ফেলুন। রেড মিট, পোলট্রি জাতীয় খাবার, সামুদ্রিক খাবার এবং ডিম খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন দিনে ১০০ গ্রামের বেশি কখনই খাবেন না।


৫) মদ্যপান বন্ধ করুন: যাঁদের ইউরিক অ্যাসিড পাথরের সমস্যা রয়েছে তাঁরা মদ্যপান বন্ধ করে দিন। বা একেবারে কমিয়ে ফেলুন। অ্যালোকোহল বেশি শরীরে গেলে পিউরিন লেভেল বেড়ে যায়। যা প্রকারান্তরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে তোলে।


৬) ব্যায়াম করুন: প্রতি দিন ব্যায়াম করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এতে পাথর জমার মতো অবস্থা তৈরি হতে বাধার সৃষ্টি করে। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কিডনির পাথরের সমস্যা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।


পুনশ্চ: কিডনিতে পাথর হলে অবশ্যই চিকিত্সরকের পরমামর্শ নিন। এমন বহু পাথর হয় যা বার করতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। এই পরামর্শগুলি আপনাকে কিডনিতে পাথর হওয়ার হাত থেকে অনেকটা বাঁচাবে। কিন্তু একবার পাথর হয়ে গেলে অবশ্য দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।


সূত্রঃ ইন্ডিয়া টাইমস