রেস্তোরাঁয় মানুষের মাংস!

ভয়ানক অন্যরকম খবর May 20, 2017 1,294
রেস্তোরাঁয় মানুষের মাংস!

কিছুদিন আগে বিরিয়ানির গন্ধ প্রতিবেশীদের পছন্দ না হওয়ায় মোটা টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের এক ভারতীয় রেস্তোরাঁর মালিককে। এবার গুজবের জেরে বন্ধ হতে চলেছে রেস্তোরাঁ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে। ‘কারি টুইস্ট’ নামে ওই রেস্তোরাঁয় নাকি নরমাংস বিক্রি হয়।


আর এই গুজবেই বিপাকে পড়েছেন সেটির মালকিন শিনরা বেগম। গুজবের উৎস একটি কৌতুক সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু এর জেরে ইতিমধ্যে পানি অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে পুলিশি তলব ও জিজ্ঞাসাবাদের ধাক্কাও। এমনটাই জানিয়েছেন শিনরা।


ইংল্যান্ডে গত ৬০ বছর ধরে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছেন শিনরা। তিলে তিলে অর্জন করা সুনাম ও প্রতিষ্ঠা যে এত সহজে টলে যেতে পারে তা তিনি ভাবতেও পারেননি। অধিকাংশ মানুষই ফোন করে ধমকাচ্ছেন। বলছেন, কোন সাহসে রেস্তোরাঁয় মানুষের মাংস খাওয়াচ্ছিস। পরিস্থিতি এরকম জটিল আকার ধারণ না করলে হয়তো এই রকম একটা গুজবে হেসেই ফেলতাম। কিন্তু সাধারণ মানুষ রসিকতায় মজা না পেয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিনরা বেগম।


সবচেয়ে বড় কথা, কৌতুক সংবাদ সাইটটিতে যে নাম-পরিচয়হীন ব্যক্তিরা তাদের ভুয়া গল্প জমা দিতে পারেন ও পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয় এ কথা প্রায় সকলেরই জানা। তবু সেই ভুয়া খবরের জেরে ৬০ বছরের রেস্তোরাঁ ব্যবসা লাটে না ওঠে, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ‘কারি টুইস্ট’-এর মালকিন।


‘এশিয়ান রেস্টুরেন্ট শাটডাউন ফর ইউজিং হিউম্যান মিট’ শিরোনামে ফেসবুকে যে খবরটি শেয়ার করা হয়েছিল তাতে অবশ্য রেস্তোরাঁর নাম ‘নিউ ক্রস’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


পাশাপাশি মালিক হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে রঞ্জন পটেলকে।


কৌতুক সংবাদে বলা হয়েছে, খাবার হিসাবে মানুষের মাংস পরিবেশন করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে রেস্তোরাঁর মালিককে। সেই সঙ্গে মাংস হিসাবে ব্যবহারের জন্য বরফে জমানো ন’টি মানুষের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্তোরাঁর মালিককে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁটি।


এই ভুয়া খবরটিতে ব্যাকরণগত ও অসংখ্য বানান ভুল থাকলেও মানুষ বিশ্বাস করে নিয়েছে বলে জানান শিনরা। যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসার উপর। ইতিমধ্যেই রেস্তোরাঁর ক্রেতা সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। ফলে কর্মচারীদের কাজের সময় কমিয়ে দিতে হয়েছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের হুমকি ও পুলিশি জেরার ধাক্কা তো রয়েছে।