প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস May 19, 2017 822
প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা

রূপচর্চায় প্রাকৃতিক পদ্ধতিই সবচেয়ে বেশি সমাদৃত। কারণ এতে কোনো ক্ষতিকারক দিক নেই। তবে কোন ত্বকে কেমন যত্ন প্রয়োজন তা আগে থেকেই জানা থাকতে হবে। আর প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ততায় একটুখানি সময় বের করে নিজের যত্ন নিতে হবে। প্রাকৃতিক উপায়ে যত্নের রয়েছে বেশ কয়েকটি ধাপ। এর মধ্যে ক্লিনজিং, ম্যাসাজ, স্ক্রাবিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


দিনে অন্তত চার পাঁচবার মুখে পানির ঝাপটা দিন, পানি হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। মুখে সাবান ব্যবহার করবেন না। মুখ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন বেসন। কাঁচা দুধের মধ্যে পাউরুটি ভিজিয়ে সেটা দিয়েও মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। সাবানের ক্ষারজাতীয় পদার্থ ত্বকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে ত্বককে করে তোলে শুষ্ক ও প্রাণহীন। সাবান যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে চন্দনযুক্ত বা নিমযুক্ত হারবাল সাবান ব্যবহার করুন। ত্বক পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।


অ্যালোভেরা, মঞ্জিষ্ঠা, চন্দনের গুঁড়া, মুসুর ডালের গুঁড়া মিশিয়ে প্রাকৃতিক ক্লিনিং স্ক্রাব তৈরি করুন। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য এই স্ক্রাব ব্যবহার করুন। শুধু মুখে নয়, চাইলে সারা শরীরেও ব্যবহার করতে পারেন এই স্ক্রাব। ত্বকের ধরন শুষ্ক হলে স্ক্রাবের সাথে পানির বদলে ব্যবহার করুন দুধ বা দই। তৈলাক্ত ত্বক হলে স্ক্রাবের সাথে মেশান লেবুর রস ও গোলাপজল। যাদের ত্বক পরিণত এবং বলিরেখার ছাপ পড়েছে তাঁরা আমন্ড তেল ও পানি মিশিয়ে স্ক্রাব ব্যবহার করুন।


স্ক্রাবের ব্যবহারে ত্বকের মৃত কোষ ও ব্ল্যাকহেডস দূর হয়। প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে আতপ চালের গুঁড়া, মুসুর ডালের গুঁড়া, এক চিমটি কর্পূর আর গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা করে ঘষে তুলে ফেলুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন।


ম্যাসাজের জন্য এসেনশিয়াল অয়েল খুবই কার্যকর। সাধারণ ত্বকের জন্য জোজোবা বা আমন্ড অয়েলের সাথে ল্যাভেন্ডার, জেরেনিয়াম বা জেসমিনের তেল মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জোজোবা অথবা সূর্যমুখী তেলের সাথে লেবু ও কয়েক ফোঁটা নিম বা চন্দনের তেল মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু ও জুঁই ফুলের তেল মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের ক্ষেত্রে জোজোবা অয়েলের সাথে ল্যাভেন্ডার অয়েল, নিম তেল, চা গাছের তেল ও লেবুর তেল মিশিয়ে ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন।


ম্যাসাজের পর হারবাল স্টিম নিলে ত্বক হয় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। দুই লিটার গরম পানিতে এক কাপ পরিমাণ উপাদান মিশিয়ে মুখে ভাপ নিন। ভাপ নেবার সময় তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। সাধারণ বা মিশ্র ত্বকের জন্য গরম পানিতে চন্দনের গুঁড়া, তেজপাতা ও তুলসী পাতা দিন। তৈলাক্ত ত্বক হলে গরম পানিতে লেবুর খোসা, লবঙ্গ ও ইউক্যালিপটাসের তেল। শুষ্ক ত্বকের জন্য পানিত মিশান লবঙ্গের গুঁড়া, পুদিনা পাতা ও রোজ অয়েল।


স্টিম নেয়ার পর মুখে মাস্ক বা ফেসপ্যাক লাগানো জরুরি। মাস্ক বা বিউটিপ্যাক ত্বকের গভীরে ঢুকে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। ফলে ব্ল্যাকহেডস বা ব্রণের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়।