চিকুনগুনিয়া'র লক্ষণ ও প্রতিকার

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 19, 2017 651
চিকুনগুনিয়া'র লক্ষণ ও প্রতিকার

রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় বলতে শুনলাম, “ভাইরে আমার তো চিকুনগুনিয়াতে ধরছে। মাত্র টেস্টা করায় আনলাম।” তাকিয়ে দেখি এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে মুখ বের করে রাস্তায় দেখা হওয়া পরিচিতকে এই কথা বলছেন।


কয়েকদিন আগেও এই রোগের নাম তেমন প্রচলিত ছিল না।


নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ পঞ্চাশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য) বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করার স্থান হল রাজধানীর মহাখালিতে অবস্থিত রোগ তত্ত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর। এই গবেষণা কেন্দ্রে ‘সেলোরজি’ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস সনাক্ত করা সম্ভব।”


তিনি আরও বলেন, “ভাইরাসটি এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানো মশাটি সুস্থ কাউকে কামড়ালে তার শরীরেও চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ ঘটে।”


রোগের লক্ষণ সম্পর্কে এই চিকিৎসক বলেন, “চিকুনগুনিয়া জ্বরের লক্ষণগুলো অন্যান্য সকল ভাইরাল জ্বরের মতোই। হাড়ের জোড়ায় তীব্র ব্যথাই এই রোগের একমাত্র স্বতন্ত্র উপসর্গ। সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়া, বমিভাব, শারীরিক দুর্বলতা, সর্দি-কাশি, র‌্যাশ ইত্যাদি তো আছেই।”


“বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে জ্বর সেরে যায়। তবে হাড়ের জোড়ের ব্যথা নাছোড়বান্দায় রূপ নেয়। ব্যথার তীব্রতাও প্রচণ্ড। ফলে রোগীর স্বাভাবিক হাঁটাচলা, হাত দিয়ে কিছু ধরা এমনকি হাত মুঠ করতেও বেশ কষ্ট হয়। আর শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে।” বললেন ডা. কামরুল।


পরামর্শ

একটানা তিন দিন জ্বর ও হাড়ের জোড়ে প্রচণ্ড ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এই রোগের বিশেষ কোনো ওষুধ বা টিকা নেই। প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা পর কিংবা তিনবেলা প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে কোনো ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।


অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কোনো উপকার নেই। বরং অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে।


এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যালাইন, লেবুর সরবত ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে।