জোব্বা, পাজামা-পাঞ্জাবি পরা কি সুন্নাত?

ইসলামিক শিক্ষা May 17, 2017 1,612
জোব্বা, পাজামা-পাঞ্জাবি পরা কি সুন্নাত?

প্রশ্ন : জোব্বা, পাঞ্জাবি ও পাজামা পরা কি সুন্নত?


উত্তর : জোব্বা নবী (সা.) পরেছেন, সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং কেউ যদি নবী (সা.) পরেছেন, এই জন্য পরেন, তাহলে তিনি সওয়াব পাবেন কোনো সন্দেহ নেই।


কিন্তু পাজামা নবী (সা.) পরেছেন কি না, এটি সহিহ সনদ দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। পাজামা নবী (সা.)-এর আমল দিয়ে প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু যদি কেউ পরেন, পরতে পারেন।


সবটাই জায়েজ, টুপি পরাও জায়েজ, জোব্বা, পাজামা, পাঞ্জাবি পরাও জায়েজ। শরিয়তে পোশাকের যে নিয়ম দেওয়া আছে, সেই নিয়ম যদি অনুসরণ করেন, তাহলে সবটাই জায়েজ, নাজায়েজ নেয়।


তবে সুন্নাহ বলতে আপনি এটা বোঝান যে নবী (সা.)-এর আমল তাহলে শাইখুল ইসলাম ইবনুল কাইয়ুম (র.) বলেছেন যে, নবী (সা.) এর আমল দ্বারা প্রমাণিত হয়নি যে নবী (সা.) পাজামা পরেছেন। একটি রেয়ায়েত পাওয়া যায় যে, নবী (সা.) পাজামা ক্রয় করেছেন। তখনকার সময়ে যে পাজামা পাওয়া যেত, সেগুলো ক্রয় করেছেন। কিন্তু পরেছেন মর্মে কোনো রেওয়ায়েত পাওয়া যায়নি, আবার কেনার যে রেওয়ায়েতটি পাওয়া যায়, সেটি সনদের দিক থেকে বিতর্কিত।


নবী (সা.) বিভিন্ন ধরনের জোব্বা পরেছেন, ইয়েমেনি জোব্বা পরেছেন, রোমি জোব্বা পরেছেন, সুস্পষ্ট হাদিসের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়েছে। সুনানে তিরমিজি, সুনানে নাসাঈর মধ্যে হাদিসটি রয়েছে, একাধিক হাদিসের কিতাবের মধ্যে এই মর্মে হাদিস রয়েছে। তাই যদি কেউ নবী (সা.) পরেছেন এ কারণে তিনি জোব্বা পরেন, তাহলে তিনি নবী (সা.)-এর আমলের কারণে সওয়াব পাবেন, শুধু জোব্বা পরার কারণে নয়।


পোশাক পরিচ্ছদগুলো কিন্তু নবী (সা.)-এর স্বভাবগত আমলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ আদাতের (এলাকার প্রথা-প্রচলন) মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এগুলো সরাসরি তাআব্বুদিবা বা ইবাদত সংশ্লিষ্ট বিষয় নয়। যে বিষয়গুলো ইবাদত-সংশ্লিষ্ট বিষয় না, সেগুলোর ওপর শরিয়তের বিধান সুন্নাত অর্থে প্রয়োগ করা বৈধ নয়, কারণ এগুলো আদাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়। কিন্তু যে বিষয়গুলো তাআব্বুদি, সেগুলো রাসুল (সা.) করেছেন প্রমাণিত হলেই সুন্নাহ সাব্যস্ত হবে।