গোলাপ জলের বিষ্ময়কর গুনাগুণ!

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস May 15, 2017 808
গোলাপ জলের বিষ্ময়কর গুনাগুণ!

গোলাপ জল হল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় স্বীকৃত ওষুধ। গোলাপ জল গোলাপ ফুল থেকে পাওয়া তেলের প্রাকৃতিক উপজাত।


পবিত্রতা রক্ষা ছাড়াও রূপচর্চায় প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবী জুড়ে গোলাপ জল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সৌন্দর্য বাড়াতে গোলাপ জলের কোনও বিকল্প নেই।


ড্রাই স্কিন হোক, কী ব্রণর সমস্য়া, সব ধরনের ত্বকের রোগেই গোলাপ জল দারুন কাজে আসে। তাই তো এর এত জনপ্রিয়তা। গোলাপ জল ত্বককে প্রয়োজনীয় আদ্রতা প্রদান করে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন গোলাপ জল ত্বকে ব্যবহার করুন।


গোলাপ জলের গুণগুনঃ

গোলাপ জলে রয়েছে ফ্ল্যাবনয়েড, ট্যানিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৩। আসুন গোলাপ জলের কিছু বিষ্ময়কর গুণ সম্পর্কে জেনে নেই।


- গোলাপ জল ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা ঠিক রাখে এবং তৈলাক্ত ভাব কমাতে সহায়তা করে।

- গোলাপ জলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি, ব্রণ এবং একজিমা প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

- ত্বকে বয়সের পড়লে, সেই ছাপ রোধে গোলাপজলের জুড়ি মেলা ভার।

- গোলাপ জলের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুণের কারণে ত্বকের যেকোন ইনফেকশন, কাটাছেড়া এবং দাগ কমাতে সহায়তা করে।

- ত্বকে পানির পরিমাণ ঠিক রেখে, ত্বকের সজীবতা ধরে রাখে গোলাপ জল।


গোলাপ জল ব্যবহারের কিছু পদ্ধতিঃ

১। ১ টেবিল চামচ গোলাপ জলের সাথে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এভাবে ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।


২। গোলাপজল এবং লেবুর রসের সাথে দুই টেবিল চামচ বেসন মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে, এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে রোদে পোড়া ভাব কমে যাবে এবং ত্বকও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।


৩। দুই চা চামচ গোলাপ জল, তিন-চার ফোঁটা গ্লিসারিন, এবং অর্ধেকটা লেবুর রস দিয়ে প্যাকটি তৈরি করে নিন। প্যাকটি প্রতিরাতে ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা পড়া রোধ করে। চোখের নিচ ফোলাভাব দূর করে ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে থাকে।


৪। গোলাপ জলের সুবাস মেজাজকে অনেক ভালো রাখে। এটা শুধু আপনাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতেই সাহায্য করবে না, বরং মনকে করবে আরও চাঙ্গা। ফলে সবসময় আপনাকে অনেক উৎফুল্ল দেখাবে। এক কথায়, বিষন্নতা দূর করে শিথিলতাও এনে দিতে এর কোনো বিকল্প নেই।