চিনির ৮ টি মারাত্মক ক্ষতিকর দিক

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 14, 2017 647
চিনির ৮ টি মারাত্মক ক্ষতিকর দিক

চিনি জিনিসটা যেমন মিষ্টি তেমন সুস্বাদু। চা কফি, পায়েস অথবা চকোলেট,আইসক্রীম- কোথায় নেই এই চিনি? অথচ এই অসম্ভব মজার খাবারটি হতে পারে আপনার দিন দিন বাড়তে থাকা বিষন্নতা আর ত্বকের বলিরেখার কারণ! মিষ্টি খেতে ভালো লাগে খুব?


তাহলে দ্বিতীয়বার ভাবুন। আপনি হয়তো জানেনও না যে, প্রতি চামচ চিনি খাবার পর আপনার শরীররের ভেতরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে!


জেনে নিন চিনির ক্ষতিকর দিকগুলোঃ


১. দেহের ভেতরের প্রত্যঙ্গগুলোকে মোটা করেঃ

১৯৮০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে লিভারের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বির একটি স্তর তৈরী হয়। এর ফলে লিভারের আকৃতির পরিবর্তন সহ লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


২. ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণঃ

গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ যদি দৈনিক চিনি থেকে ১৫০ ক্যালোরি গ্রহণ করে, তাহলে তার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ১.১ শতাংশ।


৩. হার্ট এটাকের ঝুঁকি বাড়ায়ঃ

আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোসিয়েশনের মতে, চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে সরাসরি সম্পৃক্ত। এবং হার্ট এটাকের সাথে ডায়াবেটিসের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। ৬৫% হার্ট এটাকের সাথে টাইপ-২ ডায়াবেটিস সরাসরি সম্পৃক্ত।


৪. রক্তচলাচলে সমস্যা তৈরী করেঃ

অতিরিক্ত চিনি আপনার রক্তচলাচলে বাধা তৈরী করতে পারে। এটি ধমনির দেয়ালের পুরুত্ব বাড়িয়ে দেবার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায় ও এর ফলে দেহে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।


৫. কমে আসতে পারে স্মৃতিশক্তিঃ

ব্রাউন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা জানান, অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়, কমে যেতে পারে স্মরণশক্তি ও হতে পারে আলঝেইমারের মতন রোগও


৬. মুটিয়ে যেতে সাহায্য করেঃ

অতিরিক্ত চিনি গ্রহনের সব চেয়ে খারাপ অংশটুকু এটাই। এটি খুব দ্রুত আপনার তলপেট, চিবুক ও অন্যান্য জায়গায় ফ্যাট জমতে সাহায্য করে। দৈনিক বেশী বেশি চিনির কারণে খুব দ্রুতই আপনি মোটা হয়ে যেতে পাড়েন।


৭. বিষন্নতা বাড়ায়ঃ

অদ্ভুত হলেও কথাটি সত্যি। পাবলিক হেলথ জার্নালের এক গবেষণাইয় তারা ৯০০০ মানুষকে খুজে পান যাদের বিষন্নতার সাথে সম্পর্ক আছে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের।


৮. ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়েঃ

অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে আপনার ত্বকে খুব দ্রুত বলিরেখা পড়তে শুরু করে। আর তাই বয়েস বেশি হবার আগেই বুড়িয়ে যেতে না চাইলে অবশ্যি চিনি খাওয়া কমাতেই হবে। দৈনিক ৫ চা চামচের বেশী চিনি কখনোই নয়, চেষ্টা করুন সম্ভব হলে এর চেয়েও কম চিনি গ্রহণ করার। সুস্থ থাকুন।