নিজেকে ভালোবাসুন

লাইফ স্টাইল May 13, 2017 844
নিজেকে ভালোবাসুন

ইংরেজিতে একটি কথা আছে, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে জীবন ফুলের বিছানা নয়। জীবনে উত্থান, পতন, সমস্যা থাকবেই।


নয়তো জীবন আপনার কাছে পানসে মনে হবে। আপনার কাছে জীবন শুধু দিন গিয়ে রাত আসার মতোই মনে হতে শুরু করবে। সময়ের কারণে আমরা নানাভাবে নানা কাজে যুক্ত হয়ে পড়ি। কখনো তা নিজের তাগিদে আবার কখনো তা কাছের মানুষকে খুশি করতে। এসবকিছুর মাঝে আমরা ভুলে যাই নিজের প্রতি নিজের মনোযোগ দিতে। কারো মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিতে নিতে নিজেকে দিয়ে কাজ করানোর শক্তিতে জং পড়ে যায়। আপনি যদি আপনার ভেতরে থাকা কার্যক্ষমতা আর দক্ষতাকে বিচার করতে না পারেন তবে আপনার জীবনের যোগফলের খাতায় শূন্য আসা অসম্ভব কিছু না। তাই আত্মকেন্দ্রিকতাকে চাবি বানিয়ে জীবন নামে তালাটাকে খুলতে শিখুন। দেখবেন আপনার চারপাশটা কত রঙিন।


আত্মকেন্দ্রিকতার খাতায় নিজের নাম জুড়ে দিতে চাই কিছু কাজ আর অধ্যাবসায়, যা আপনাকে নিজের প্রতি মনোযোগী করে তুলবে।


অন্যর সাথে তুলনা

সুন্দর এই পৃথিবীতে আমরা সবাই একে অন্যর থেকে আলাদা। আমাদের স্বপ্ন আলাদা, আমাদের কর্ম আলাদা। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। তাই কাজের ক্ষেত্রেও আমাদের চলন, বলন, ভাব বিনময় সব কিছুতেই আছে তারতম্য। আমাদের অক্ষমতাতেও আছে ঠিক তেমনি পার্থক্য। আপনি যখন কোনোকিছুতে খুব ভালো করেন তখন আপনাকে কেউ তুলনা করেনা। কিন্তু যখনই খারাপ করবেন আপনাকে তুলে ধরবে সবার সামনে। আর এতেই সৃষ্টি হয় নিজেকে নিয়ে অন্যর সাথে তুলনা। যা আপনার নিজস্বতাকে গলা টিপে হত্যা করে। তাই নিজের আত্মমর্যাদা আর নিজের ক্ষমতাকে বাচিয়ে রাখতে বাঁচিয়ে রাখুন নিজস্বতাকে।


মনস্থির করা

আপনি যখন কোনো বিষয়ে অস্থির থাকবেন আপনার কোনো কিছুতেই মন বসবে না। বরং এই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কাজটিও আপনার কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে উঠবে। আর এই বিরক্তির ফলে আপনার দ্বারা ভুলভাল কাজ হতে পারে। তাই সবার আগে মনস্থির করুন, এরপরে কাজের দিকে পা বাড়ান আর নিজের ভেতরে থাকা শক্তিকে জাগ্রত করুন।


ভালোবেসে শিখে নিন

কোনোকিছু শেখার পেছনে থাকা মূল মন্ত্র হচ্ছে ভালোবাসা। আপনি যখন আপনাকে ভালোবাসবেন তখন আপনি আপনার জন্য কিছু শিখতে চাইবেন। ঠিক সেইভাবে, যেভাবে আপনি কাউকে ভালোবাসলে তার জন্য করেন। এই ভালোবাসাই আপনাকে আপনার জন্য কাজ করায় আর নিজেকে চিনতে উৎসাহ দেয়।


যাত্রা

জীবন যতদিন থাকবে এই যাত্রাও ঠিক ততদিন থাকবে। আর এই জীবনের যাত্রার একমাত্র সঙ্গী হচ্ছেন আপনি। গ্যালারির বাইরে থাকা দর্শকরা যেমন খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয় তেমনই আপনার জীবনে থাকা গ্যালারির বাইরের মানুষগুলোও আপনাকে উৎসাহ দেয়। কিন্তু আপনাকে করতে হবে আপনার কাজগুলো তার জন্য প্রয়োজন আপনার নিজের প্রতি মনোযোগী হয়ে ওঠা।