গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার কিছু সহজ উপায়!

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 11, 2017 797
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার কিছু সহজ উপায়!

জ্বালানি গ্যাস যতট উপকারী পেটের গ্যাসের ভোগান্তি ঠিক এর বিপরীত। নানাবিধ কারণে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং পেট ফুলে থাকে। এই সমস্যাটা এখন প্রায় বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই সাধারণ ঘটনা।


তবে রোগটির জন্য মূলত আমরা নিজেরাই অনেকাংশে দায়ী। আমাদের ত্রুটিপূর্ণ জীবনযাপনের এবং খাদ্যাভ্যাসের কারনে বদহজম বা পেটে গ্যাস হওয়ার মতো পেটের বেশির ভাগ সমস্যা হয়ে থাকে। তবে মাঝে মাঝে কোন খাবারের অ্যালার্জির কারনেও এই সমস্যা হতে পারে।


যাইহোক এবার জেনে নেওয়া যাক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার কিছু উপায়!


১. প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে কোন খাবার খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়। এর জন্য দৈনিক কি কি খাবার খাওয়া হচ্ছে তা লিখে রাখতে হবে। যেদিন পেটে অস্বস্তি অনুভব হবে সেদিন তালিকা দেখতে হবে কোন খাবার নতুন যোগ হয়েছে। এক সপ্তাহ সে খাবার বাদ দিয়ে এরপর আবার খেতে হবে। যদি সমস্যা হয় বুঝতে হবে এটিই ট্রিগার ফুড।


২. গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে অন্য খাবার দিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে। ননিবিহীন দুধ, কমলার রস, সবুজ চা, চাল, চালের গুঁড়ার কেক, চর্বি ছাড়া মাংস (মুরগি) ও ছোট মাছ দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে। এতে পুষ্টির ঘাটতি হবে না।


৩. পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য উপাদান শসা। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়। এছাড়া দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়। তবে আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। তাই পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।


৪. যাদের আঁশযুক্ত খাবারে গ্যাস হয় তারা সবজি সিদ্ধ করে খেতে পারেন। খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করতে হবে, এতে খাদ্যনালী সচল হবে ও পাকস্থলী খাবার গ্রহণের উপযোগী হবে। সকালে খালি পেটে ইসপগুলের সরবত পেটের গ্যাসের সমস্যার জন্য উপকারী।


৫. খাওয়ার পর সামান্য হাঁটাহাঁটি করলে পেটের গ্যাস সিস্টেমের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। ধূমপান, এলকোহল ও চুইংগাম চিবানো বাদ দিতে হবে।


এছাড়া মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। নিয়মিত রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। যেসব খাবার পেট ঠাণ্ডা রাখে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সে রকম খাবার রাখতে হবে। খাবার পরিবর্তনের পরও যদি পেটের সমস্যা সমাধান না হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।


সূত্র: লাইফ সায়েন্স ও উইকিপিডিয়া