হলুদ ফল ও সবজির পুষ্টিগুণ

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 10, 2017 711
হলুদ ফল ও সবজির পুষ্টিগুণ

‘হলুদ সাংবাদিকতা’ নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হলেও খাবারের ক্ষেত্রে একেবারেই বিপরীত।


খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া ফলাফল থেকে জানানো হয়, খারারের প্লেটে ৪:৩ অনুপাতে বিভিন্ন রংয়ের সবজি এবং ফল থাকা জরুরি। উজ্জ্বল রংয়ের খাবারগুলোতে নানান স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে যা অনেকেরই অজানা।


ক্যারোটিনয়েডস: ফল বা সবজিতে ক্যারোটিনয়েডের উপস্থিতির কারণেই রং এমন উজ্জ্বল হয়। বেটা-ক্যারোটিন এবং বেটা-ক্রিপটোক্সানথিনের সমন্বয়ে ক্যারটিনয়েডস গঠিত হয়। হলুদ ফল বা সবজি খাওয়ার পর শরীর এই উপাদানকে ভিটামিন এ’তে রূপান্তর করে।


অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: শরীরে কোষের ক্ষতির ঝুঁকি হ্রাস করে। বেটা-ক্রিপটোক্সানথিন এবং ভিটামিন সি এই খাবারে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম যা কোষ সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।


দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে: হলুদ ফল ও সবজিতে থাকা ক্যারোটিনয়েডস শরীরে ঢুকে ভিটামিন এ’তে রূপান্তরিত হয় যা চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে উজ্জ্বল রংয়ের সবজি ও ফল।


ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের এক গবেষণায় দেখা যায় চার ধরনের ক্যারোটিনয়েডস স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। ক্যারোটিনয়েডস টিউমার বৃদ্ধি এবং এস্ট্রোজেন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমিয়ে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনে।


থেরাপি: প্রাচীন আমলে বিভিন্ন রোগ সারাতে ‘আর্ট থেরাপি’ ব্যবহার করা হত। এর অনুশীলনকারীদের মতে, আনন্দদায়ক রংয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে হলুদ, যা শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানের অপচয় রোধে সহায়তা করে।


হলুদ ফল ও সবজির উপকারিতার কমতি নেই। তাই কলা, হলুদ ক্যাপসিকাম, আনারস, হলুদ মিষ্টি-কুমড়া, বাঙ্গি, ভুট্টা, পাকাআম ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।