ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে করণীয়

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 9, 2017 641
ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে করণীয়

ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি দিনদিন বেড়েই চলেছে। আমাদের দৈনন্দিন কাজের খারাপ প্রভাবের কারণেও কিন্তু দেহে জন্মায় ক্যান্সারের কোষ। আপনি হয়তো জানেনও না আপনার ছোট্ট কিছু সাবধানতা এবং সতর্কতা দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রতিদিন তাই আপনাকে এমনকিছু কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে, যা কিনা আপনার দেহে ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক।


যারা একটানা অনেক্ষণ বসে থাকেন তাদের ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা প্রতি ২ ঘণ্টায় প্রায় ১০% বেড়ে যায়। গবেষকদের মতে আধাঘণ্টা পরপরই উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নেয়া ভালো। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই প্রতি ২ ঘণ্টায় একটু বড় ধরণের ব্রেক নেয়া জরুরি।


প্রতিদিন আমাদের ৬ গ্রামের কম পরিমাণে লবণ অর্থাৎ ২.৪ গ্রাম সোডিয়াম খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এর চাইতে বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।


কয়লার আগুনে পোড়ানো, উচ্চতাপমাত্রায় তেলে ভাজা এবং রান্না করা মাংসে অনেক ধরণের কেমিক্যাল উৎপন্ন হয়। যা ক্যান্সারের কোষ গঠনে সহায়তা করে। মেরিনেট করার ফলে মাংসের উপরে যে লেয়ার তৈরি হয় তা সরাসরি আগুনের তাপে মাংস রান্না হতে বাঁধা দেয় এবং ক্ষতিকর কেমিক্যাল উৎপন্ন হতে পারে না। তাই রান্নার আগে অবশ্যই মাংস মেরিনেট করে নিন।


ফলমূল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে তার পুষ্টিগুণ অটুট থাকে এবং ক্যান্সার কোষ গঠনে বাঁধা দানের ক্ষমতা সম্পন্ন নিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ বেশি থাকে। যেমন টমেটো ও মরিচ যদি বাইরে রেখে দেন ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে তাহলে এতে দ্বিগুণ পরিমাণে ব্যাক্টেকারোটেন এবং ২০ গুন বেশী পরিমাণে লাইকোপেন থাকে যা ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা দানে বিশেষ কার্যকর।


যদি আপনি স্বাস্থ্যকর খাবারের আশায় তেলে না ভেজে ওভেনে বেক করে সবজি খেতে চান তাহলে তা একেবারেই ভুলে যান। কারণ ওভেনে দেয়ার ফলে ব্রকলির ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রায় ৯৭% কমে যায়। একই বিষয় প্রযোজ্য অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রেও। যদি স্বাস্থ্যকর খেতে চান তাহলে ওভেনে না দিয়ে সেদ্ধ করে খান।


বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যায় আর্টিফিশিয়াল আলোর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের কারণে বিশেষ করে রাতের বেলার লাইটের কারণে স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এর কারণ হিসেবে গবেষকগণ আলোতে দেহের হরমোনের উপর প্রভাব পড়াকেই দায়ী করেন যা ঘুমের সময় আমাদের দেহে ঘটে থাকে। তাই আর্টিফিশিয়াল আলো যতো কম ব্যবহার করা যায় ততোই ভালো।


সুগন্ধি কেমিক্যালযুক্ত মোমবাতির কারসিনোজেনিক প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে বদ্ধ ঘরে এই ধরণের কেমিক্যাল সমৃদ্ধ মোম পোড়ানোর ধোঁয়া এবং গন্ধ খুবই ক্ষতিকর। ঘরে আলো বাতাস চলাচল হতে দিন এবং সুগন্ধি মোম কেনা বন্ধ করুন।