অংশীদারি ব্যবসায় মুনাফা কীভাবে নির্ধারণ হবে?

ইসলামিক শিক্ষা May 6, 2017 941
অংশীদারি ব্যবসায় মুনাফা কীভাবে নির্ধারণ হবে?

প্রশ্ন : আমার এক আত্মীয় তাঁর একটি পোশাকের দোকানে যেমন : বাচ্চাদের পোশাক, বড়দের শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি ইত্যাদি বিক্রি করেন। আমি ওই দোকানের সঙ্গে শেয়ার (অংশীদার) হয়েছি এবং দুই লাখ টাকা তাঁকে দিয়েছি। টাকা দেওয়ার সময় কাগজে লিখিত চুক্তি হয়েছে যে, সকল খরচপাতি যাওয়ার পরে যা থাকবে, তা থেকে তিনি আমাকে মাসে ২৫ শতাংশ লাভ দেবেন। মাস শেষে তিনি আমাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেন। এভাবে তিন মাস দেওয়ার পরে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, এভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে দেন কেন? লাভ কম হলে কম দেবেন, বেশি হলে বেশি দেবেন। তখন তিনি আমাকে বললেন যে, প্রতিটা পোশাকের ওপর ১০ শতাংশ লাভ অনুমান করে আপনাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এটা কি ঠিক? আর যদি ঠিক না হয়, তাহলে কীভাবে সঠিক হবে, দয়া করে জানাবেন।


উত্তর : খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। আসলে লেনদেনের বিষয়ে আমি এটাই প্রথমে বলব, খুবই স্পষ্ট হওয়া দরকার, স্বচ্ছ থাকা দরকার। আপনি যে প্রক্রিয়ায় তাঁকে টাকা দিয়েছেন, আপনার সেই পদ্ধতি ঠিক আছে। যে প্রক্রিয়ায় চুক্তি হয়েছে, সেটাও ঠিক আছে।


লাভের যে ২৫ শতাংশ আপনাকে দেবে, সেটাও ঠিক আছে। কিন্তু তিনি যে প্রক্রিয়ায় আপনাকে মুনাফা বা লাভ দিচ্ছেন, সে প্রক্রিয়াটি শুদ্ধ নয়। এর কারণ হচ্ছে, এখানে লাভের কোনো হিসাব কষা হচ্ছে না। লেনদেনের মধ্যে অনুমানের কোনো সুযোগ নেই। বিক্রি না-ও হতে পারে, লাভ না-ও হতে পারে।


সুতরাং হিসাব করে ২৫ শতাংশ ধরতে হবে। এখন যে কাজটি তাঁর জন্য বৈধ বা জায়েজ হবে, সেটি হলো তিনি অনুমান করে আপনাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে পারেন। কিন্তু মাসের শেষে যখন লাভের হিসাব আসবে, ফাইনাল হিসাব যখন আসবে, তখন হিসাবটা সমন্বয় করে নেবেন। এটা তাঁর জন্য জায়েজ রয়েছে।


কিন্তু অনুমানের ওপর, আন্দাজের ওপর ফাইনাল করবেন এবং লাভ দিয়ে দেবেন, এমনটা হবে না। এই কাজটি শুদ্ধ নয়।


তাই তিনি যেভাবে তাঁকে লাভ দিচ্ছেন, এটা সঠিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না; বরং এটাকে সংশোধন করতে হলে, এখন আন্দাজের ওপর দিলেও পরবর্তী সময়ে আবার সমন্বয় করে নেবেন। এটাই হচ্ছে মূলত সঠিক কাজ।