ত্বকে লাবণ্য ধরে রাখার উপায়

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস May 5, 2017 684
ত্বকে লাবণ্য ধরে রাখার উপায়

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা কমতে থাকে। সতেজ ত্বকের জন্য আমাদের নানারকম প্রচেষ্টা হয়তো থাকে, কখনোবা অসচেতনভাবেই এড়িয়ে যাই। যার ফলাফলস্বরূপ দেখা দেয় চোখের পাশের ফাইন লাইন, কুঁচকে যাওয়া ত্বক বা ছোপ ছোপ দাগ। তবে একটু চেষ্টা থাকলেই আপনি এসব থেকে দূরে থাকতে পারবেন। ধরে রাখতে পারবেন ত্বকের লাবণ্য। কারণ আপনার হাতের কাছেই রয়েছে এমন সব প্রাকৃতিক উপাদান, যার সাহায্যে আপনিও বয়েসের ছাপকে দূরে ঠেলে দিতে পারবেন সহজেই।


ত্বকের যত্নে গোলাপজল বেশ উপকারি। খুব সহজেই এটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। একটি বাটিতে ২ চা চামচ গোলাপজল, ১/২ চাচামচ লেবুর রস আর কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপরে একটি তুলার বলের সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। এই প্যাকটি রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালোভাবে পরিস্কার করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করে শুয়ে পড়ুন। পানি দিয়ে ধোয়ার কোনও দরকার নেই। সারা রাত এটি আপনার ত্বকের ওপর কাজ করবে।


নারকেলের দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ত্বকের রিংকেল রোধ করতে খুবই কার্যকরী। ২-৩ চামচ নারকেলের দুধ নিয়ে একটি তুলোর বলের সাহায্যে পুরো মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন। বিশ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।


রিংকেল থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রয়োজন ত্বককে সঠিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করা। ত্বক যদি আদ্র থাকে, তাহলে সেখানে রিংকেল আসে দেরিতে। আর ত্বকের আদ্রতা রক্ষায় মধুর কোনও জুড়ি নেই। এটি ত্বকের ড্যামাজ সারিয়ে তোলে এবং ত্বককে পুনরায় উজ্জীবিত করে তোলে। ২/৩ চামচ মধু নিয়ে মুখে, গলায়, ঘারে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটা থেকে ভালো ফল পেতে রোজ করতে পারেন, অথবা একদিন পরপর।


ডিমের সাদা অংশে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন এবং জিঙ্ক। যা ত্বককে টানটান ও মসৃণ করে তোলে। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি ডিমের কুসুমের সাথে ১ চা চামচ দুধের ক্রিম ও এক চামচ পরিমাণ লেবুর রস মেশাতে হবে। ভালো করে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে তিন দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন।


টক দইতে আছে প্রচুর পরিমাণে রিংকেল প্রতিরোধকারি উপাদান। টক দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বকের পোরসগুলোকে সঙ্কুচিত করে ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো- ২ চা চামচ টক দই, এক চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিয়ে এতে মেশাতে হবে এক চিমটি হলুদ। এরপরে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে খুব সাবধানে এর উপর থেকে সামান্য কেটে নিয়ে তেলটুকু আগে বানানো প্যাকের সাথে মেশাতে হবে। এই প্যাকটি মুখে, গলার ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এরপরে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কার্যকরী ফলাফল পেতে এই প্যাকটি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন।


ছোট একটি পাকা কলা নিয়ে ভালো করে চটকে নিন। এবার এর সাথে মেশান এক চামমচ গোলাপজল, এক চামচ মধু ও এক চামচ টক দই। মিশ্রণটি একটু সময় নিয়ে ভালো করে একটি পেস্টের মতো তৈরি করতে হবে। এরপরে মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপরে ঠাণ্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করলেই দেখবেন ত্বকে লক্ষ্য করার মতো পরিবর্তন এসেছে।