শিক্ষকের মগের আঘাতে মুখের গড়ন বদলে গেল ছাত্রীর, অবশেষে ফুটল হাসি

সাধারন অন্যরকম খবর May 4, 2017 1,601
শিক্ষকের মগের আঘাতে মুখের গড়ন বদলে গেল ছাত্রীর, অবশেষে ফুটল হাসি

আর কোনোদিন হাসতে পারবে না, এমনটাই ভেবেছিল নারুইদি জোসানথিয়া। থাইল্যান্ডের এই মেয়েটা এক স্কুলছাত্রী।


গত বছর স্কুলের এক শিক্ষক তার মাথায় একটা মগ ছুড়ে মারেন। আর ওই আঘাতে তার মুখটা বাঁকা হয়ে যায়। কিন্তু আবারো মুখে হাসি ফুটে উঠেছে তার। শিক্ষা-দীক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেলেও থাইল্যান্ডে এখনও অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল রয়েছে যেখানে শিক্ষকদের আচরণ নিষ্ঠুরতার মাত্রা ছাড়ায়। এ ঘটনা যেন তারই উদাহরণ। এমনও অভিযোগ রয়েছে, অনেক স্থানে এমন নিয়ম আছে যে শিক্ষককে প্রশ্ন করা রীতিমতো অপরাধ!


এমনিতেই শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিষ্ঠুর আচরণ ভাইরাল হয়ে যায়। চারদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।


নারুইদির ওপর শিক্ষকের এমন হামলা ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। সবাই থাইল্যান্ডের প্রশংসিত শিক্ষাব্যবস্থার আড়ালের এই ভয়ংকর অবস্থা নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠেন।


কিন্তু শিক্ষকের এ হামলা তার জন্য অভিশাপ বয়ে আনল। মেয়েটির মুখের ঠোঁট ও থুতনি ডানপাশে বাঁকা হয়ে গেল।


সামান্য নিচের দিকে নেমে গেল। থাইল্যান্ডের হতদরিদ্র উত্তর-পূর্বের কোরাল প্রদেশে বাস তার। মুখের এ অবস্থার কারণে সে তার বাম চোখটিও বন্ধ করতে পারে না। নাইরুদির ভাষায়, আয়নায় যখনই নিজের চেহারা দেখতাম, আমি এটা মেনে নিতে পারতাম না।


সে সব সময় বিমানবালা হওয়ার স্বপ্ন দেখত। কিন্তু মুখের এই অস্বাভাবিক অবস্থার কারণে তা আর কোনোদিন সম্ভব হবে ধরে নিল সে। সোশাল মিডিয়ার কল্যাণেই সুস্থতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ মিলল তার। চিকিৎসার জন্য ফান্ড গঠন করলে এমন সব মানুষরা যাদের কাউকেই সে চেনে না। আট মাস পর খবরচবহুল চিকিৎসা ও প্রতিদিন ব্যায়ামের পর মুখটা ঠিক হলো তার। আয়নায় নিজেকে দেখে হাসিতে উদ্ভাসিত হয় মুখ।


তবে পুরোপুরি হয়তো ঠিক হবে না সে। কারণ, প্যারালাইসিসের লক্ষণ এখনো তার মুখের বাম পাশে দেখা যায়। কিন্তু সে দারুণ খুশি। অনেকটা তো ভালো হয়েছে। অন্তত এখন আমি হাসতে পারি, বলল মেয়েটি।


শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষক-শিক্ষিকার এমন নিষ্ঠুর আচরণ সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনার একটি। এসব ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে শিক্ষব্যবস্থার ওপর। শুধু শিক্ষকই নয়, বড়দের প্রশ্ন করাও যেন নিষিদ্ধ কোনো বিষয়।


গত বছর একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, এক ছাত্রী অ্যালার্জির কারণে ডিমের টফু স্যুপ খেতে আপত্তি জানায়। এ কারণে তাকে শিক্ষকের পা ধরতে বাধ্য করা হয়।


সূত্র : এমিরেটস