বিয়ের জন্য ‘কনের হাট’ বসে যে দেশে

সাধারন অন্যরকম খবর May 4, 2017 1,595
বিয়ের জন্য ‘কনের হাট’ বসে যে দেশে

সুন্দরী সব ললনারা একসাথে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কেউ রূপচর্চা করছেন। কেউ আবার নিজেদের পোশাক-আশাক ঠিক করা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাদের এসব আচরণ দেখে মনে হতেই পারে তারা কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আসলে কিন্তু তা নয়। অবাক করার মতো বিষয় যে, জীবনের জন্য নতুন সঙ্গী (স্বামী) খোঁজার জন্য তাদের ওই বাজারে তুলেছেন তার মা-বাবারা।


ইউরোপের সমৃদ্ধিশালী দেশ বুলগেরিয়ায় স্টারা জোগরা শহরের একটি উন্মুক্ত মার্কেটের চিত্র এটি। রোমা সম্প্রদায়ের গরিব মা-বাবারা তাদের মেয়েদের বাজারে তোলেন। এ জন্য মেয়ের বিয়ের সব খরচ বাবা-মাকে দিয়ে থাকে ওই সম্প্রদায়ের একটি ইউনিয়ন।


বিবাহ উপযুক্ত যুবকেরা কনে পছন্দ করতে আসেন বাজারে। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকেন সেখানে। উপস্থিত মেয়েদের মধ্য থেকে কনে পছন্দ করেন ছেলেরা। পরে পরিবারের পছন্দ ও সম্মতির পরই তাদের বিয়ে হয়।


বছরে চারবার ‘কনে হাট’ বসানো হয়। রোমান যাজকের কৃপা পাওয়ার আশায় ধর্মীয় ছুটির দিন এবং বসন্ত ও গ্রীষ্মে ওই হাট বসানো হয়। হাটে আসা যুবক-যুবতীরা শুধু খোশগলল্প করেন তা নয়, নিজেরা ম্যাচমেকারের ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হন।


কনজারভেটিভ সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীরা এই সুযোগে একে অন্যকে ধরে নাচেন, গান গায় ও নানা ফুর্তিতে মেতে ওঠেন। ছবিতে পোজ, এমনকি হালকা পানীয়ও পান করেন তারা।


সেই তাম্রলিপির যুগ থেকে ঐতিহ্যগতভাবে এ ভাবেই ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়ে আসছেন বুলগেরিয়ার প্রাচীন রোমা সম্প্রদায়ের পরিবাররা। তবে এক মেয়ের বিয়ের পেছনে আড়াই থেকে সাড়ে চার হাজার পাউন্ড খরচ করতে হয় সম্প্রদায়ের ইউনিয়নকে। নিজেদের ঐতিহ্য রক্ষার কথা ভেবে এভাবেই নিজেদের সন্তানদের কনে বাজারে তুলছেন পিতা-মাতারা।