আন্ডার আর্মের কালো দাগের কারণ ও প্রতিকার!

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস May 4, 2017 942
আন্ডার আর্মের কালো দাগের কারণ ও প্রতিকার!

সারাদিনের ক্লান্তি আর তার সাথে যুক্ত গরম মন মেজাজ খারাপ করে রাখে। তার উপরে যদি ঘামের গন্ধ নাকে আসে তাও আবার নিজেরই আন্ডার আর্ম থেকে তখন কেমন লাগতে পারে চিন্তা করে দেখুন। আর এর সাথে তো অসহনীয় ঘাম আছেই। এই ঘাম আর গন্ধতেই থেমে নেই। এর পরের স্তর হচ্ছে কালো দাগ। তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনি নিজেকে পারবেন আন্ডার আর্মের ঘাম আর কালো দাগ থেকে দূরে রাখতে।


সেভিং :

অনেকেই আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে থাকা অবাঞ্ছিত লোম রেজার দিয়ে পরিষ্কার করে থাকেন। এতে আন্ডার আর্মে কালো দাগের সৃষ্টি হয়। রেজার ব্যবহার করলে কেবল উপরে স্তরের লোমই উঠে আসে যাতে জায়গাটি কালো দেখায়। এই ক্ষেত্রে লোম দূর করার বিভিন্ন ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়। আপনি সেই সমস্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যাতে কালো দাগ ও পড়বে না এবং আপনার আন্ডার আর্মে ঘাম জমে কালো দাগেরও সৃষ্টি হবে না।


মৃতকোষ:

আমাদের দেহের প্রত্যকটি অংশে লোমকূপ আছে। আর তাতে আছে মৃত কোষ। এই মরা কোষগুলো কালো দাগের সৃষ্টি করে। মরা কোষ দূর করার জন্য আপনি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। তবে স্ক্রাবটি যেন ল্যাকটিক এসিড সমৃদ্ধ হয় । এই মৃত কোষের কারনে কালো দাগের সৃষ্টি হয়।


অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট বা বডি স্প্রে ব্যবহার :

আমরা নিজের ঘামের গন্ধ দূর করতে আন্ডার আর্মে নানা ধরনের ডিওডোরেন্ট আর বডি স্প্রে ব্যবহার করে থাকি। অনেক সময় এর ডেড লাইন এমনকি কোম্পানির ভালো মন্দ চিন্তা করি না। ঘ্রাণের উপর নির্বাচন করে কিনি। আর এই সব কম দামী বডি স্প্রের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আন্ডার আর্মে ঘাম আর কালো দাগের সৃষ্টি হয়।


ঘর্ষণ :

যখন খুব টাইট পোশাক পরি তখন কাপড়ের সাথে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচের ত্বকের ঘর্ষণের কারণে কালো দাগ হতে পারে। যা কালো দাগ সৃষ্টি করে। পোশাক এমন হতে হবে যা গরমে আরামদায়ক এবং যার ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে।


বংশগত কারণ :

অনেকেরই বংশগতভাবে কিংবা এ্যালার্জিজনিত সমস্যার কারণে আন্ডার আর্মের নিচের কালো দাগ চোখে পরে। এর জন্য আপনি আন্ডার আর্মে পাউডার কিংবা ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। তবে দাগ বেশি হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।


ডায়াবেটিস :

ডায়াবেটিসের কারণেও আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ অংশটি কালো হতে পারে। আর এর অন্যতম কারণ এর হচ্ছে পিগমেন্টেশন। একারণে ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।