দই-ভাতের স্বাস্থ্য উপকারিতা

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 3, 2017 770
দই-ভাতের স্বাস্থ্য উপকারিতা

দই খুবই উপকারী খাবার। পেটের সমস্যায় দই খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এসিডিটি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে দই। জ্বর হলেও দই উপশম হিসেবে কাজ করে। আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে দইয়ের। দই নানাভাবে খাওয়া যায়। কেউ এমনিতে খায়। কেউ মিষ্টির সঙ্গে দই খায়। কেউ চিড়া দিয়ে দই খায়। মশলা মেশানো দই-ভাতও খাওয়া যায়। এটা যেমন স্বাদের, তেমনি উপকারী।


▶দই-ভাতের স্বাস্থ্য উপকারিতা-


১। ওজন কমায়

দই-ভাত ওজন কমতেও সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য তিন বেলাই দই-ভাত খেতে হবে এমন নয়। তবে আপনার ডায়েট প্ল্যানে দই-ভাত অন্তর্ভুক্ত করুন। ভেজিটেবল ফ্রায়েড রাইসের তুলনায় দই-ভাতে ক্যালরি কম থাকে। একবাটি দই-ভাত খেলে পেট ভরে যায় এবং ক্ষুধা কম লাগে।


২। কোষ্ঠকাঠিন্য

দই ভালো ব্যাকটেরিয়ায় পরিপূর্ণ। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে দই। এতে প্রচুর পানি থাকে বলে মল নরম করার মাধ্যমে মল বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে পেটে যে ব্যথা হয় তা কমতে সাহায্য করে দই-ভাত।


৩। জ্বরে

জ্বরের ফলে কিছু খেতে ইচ্ছে করছেনা আপনার? তাহলে সামান্য দই-ভাত খেয়ে নিন। অল্পতেই পেট ভরবে এবং ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এনার্জিও পাবেন। দইয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করার উপাদান থাকে বলে জ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও জ্বরের জন্য যে ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক সেবন করা হয় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে দই-ভাত।


৪। পেটের সমস্যায়

এসিডিটি বা বদহজম হলে একবাটি দই-ভাত খাওয়া ভালো প্রতিকার। এছাড়াও এটি পুষ্টি উপাদান শোষণে এবং পরিপাকে সাহায্য করে।


৫। স্ট্রেস কমায়

নিয়মিত দই-ভাত খেলে শুধু পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের উন্নতিই ঘটায় না বরং স্ট্রেস কমতেও সাহায্য করে। দইয়ে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভালো ফ্যাট থাকে। ব্যথা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মেজাজের উন্নতি ঘটায় দই-ভাত।


সাবধানতা: যাদের ঠান্ডা-কাশি হওয়ার প্রবণতা বেশি তাদের রাতের বেলায় দই না খাওয়া ভালো। এছাড়া যাদের দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে সমস্যা হয়, তাদেরও দই-ভাত এড়িয়ে যাওয়া ভালো।