কিডনি ভালো রাখতে চান? তাহলে এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না!

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস May 2, 2017 1,032
কিডনি ভালো রাখতে চান? তাহলে এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না!

মুখ দিয়ে প্রবেশ করা প্রতিটি জিনিসকে কিডনির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই তো কিডনির ভাল-মন্দ আনেকাংশেই নির্ভর করে আপনি কী খাচ্ছেন তার উপর। আমাদের মধ্য়ে অনেকেই না বুঝে এমন অনেক কাজ করে ফেলেন যা সরাসরি প্রভাব পরে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কতগুলি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে কিডনি নিয়ে অন্তত কোনও দিন ভাবনায় পরতে হবে না।


হয়তো ভাবছেন, খাবার সঙ্গে কিডনির ভাল থাকার কী সম্পর্ক, তাই তো? আসলে কিডনি হল একটা ছাকনির মতো। আমাদের শরীরে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর উপাদনকে ছেঁকে বার করে দেওয়া এই অঙ্গটির মূল কাজ। এবার ভাবুন, আপনি এমন একা জিনিস খেলেন তাতে ব্যাপক মাত্রায় এমন সব কেমিক্যাল আছে, যা শরীর থেকে বার করতে কিডনিকে মারাত্মক খাটতে হবে। সেই সঙ্গে ওইসব কেমিক্যালের প্রভাবে কিডনিরও ক্ষতি হবে। আর এমনটা যদি বারে বারে হতে থাকে, তাহলে কিডনি কি আর সুস্থ থাকবে? একেবারেই নয়। তাই তো এমন জিনিস শরীরে প্রবেশ করাতে মানা করেন চিকিৎসকেরা যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এখন প্রশ্ন হল কী কী জিনিসের থেকে কিডনির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে? এই উত্তর পেতে যে চোখ রাখতে হবে বাকি প্রবন্ধে।


১. অ্যান্টিবায়োটিক

একথা ঠিক যে নানা রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনও বিকল্প নেই। তবে এই ধরনের বেশ কিছু ওষুধ মূল রোগকে সারানোর পাশপাশি কিডনির উপর কুপ্রভাব ফেলে থাকে। তাই তো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেতে মানা করা হয়। প্রসঙ্গত, যেসব রোগে মূলত অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়, সেই সব রোগ অনেক সময় ঘরোয়া ওষুধেও সেরে যায়। তাই এবার থেকে প্রথমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা করার চেষ্টা। যদি দেখেন কাজ হচ্ছে না, তখন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কথা ভাবুন। এমনটা করলে কিডনির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে।


২. মেডিকেল টেস্ট

একদম ঠিক শুনেছেন। বেশ কিছু পরীক্ষা আছে, যা বারে বারে করলে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষত যারা কিডনির রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই যে কোনও টেস্ট করানোর আগে একবার জেনে নেবেন আপনার শরীরের উপর সেই পরীক্ষার কোনও কুপ্রভাব পরবে কিনা। প্রসঙ্গত, এম আর আই টেস্ট করার সময় এমন এক ধরনের কনট্রাস্ট ডাই ব্যবহার করা হয় যা কিডনির অল্প হলেও ক্ষতি করে।


৩.নেশার জন্য ব্যবহৃত ড্রাগ

কোকেন এবং হেরোয়িনের মতো ড্রাগ দীর্ঘ সময় ধরে সেবন করলে কিডনি ফেলিওর হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও থাকে। তাই দীর্ঘ জীবন পেতে এমন সব নেশার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।


৫. অ্যালকোহল সেবন

মদ্যপান করলে যে শুধুমাত্র লিভারের ক্ষতি হয়, তা নয়। সেই সঙ্গে কিডনিও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আসলে বেশি মাত্রায় মদ খলে তা শরীর থেকে বার করতে কিডনিকে বেশি মাত্রায় কাজ করতে হয়। তাই এমনটা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। তাই এই ধরনের কু-অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেবেন, ততই মঙ্গল।


৬.জোলাপ জাতীয় জিনিস বেশি খাবেন না

পেট পরিষ্কার রাখতে প্রাকৃতিক উপাদানের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ পটি পরিষ্কার হবে এমন ইচ্ছা নিয়ে যারা বাজার চলতি জোলাপ বেশি করে খান, তাদের মূল উদ্দেশ্যটা কোনও কোনও সময় পূরণ হয় ঠিকই, তবে সেই সঙ্গে কিডনিও মারাত্মক রকমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আপনি নিশ্চয় পেট পরিষ্কার করতে গিয়ে কিডনি খারাপ করতে নিশ্চয় আপনি চাইবেন না!


কী কী সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে এক্ষেত্রে?

আজ থেকে অ্যালকোহল সেবন ছেড়ে দিন। সেই সঙ্গে এই প্রবন্ধে আলোচিত সাবধনতাগুলি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন। তাহলেই দেখবেন আপনার কিডনি কখনই অসুস্থ হয়ে পরবে না।