ভ্রমণ: জল, বন আর সাদা সৈকতের স্বর্গ তিয়োমান দ্বীপ

দেখা হয় নাই April 29, 2017 1,329
ভ্রমণ: জল, বন আর সাদা সৈকতের স্বর্গ তিয়োমান দ্বীপ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার খুব কম দ্বীপই আছে যেগুলোকে ভূ-স্বর্গ বলেই মনে হয়। এদের মধ্যে একটি তিয়োমান দ্বীপ। দক্ষিণ চীন সাগরে মালয়েশিয়া পেনিনসুলার পূর্ব উপকূলে অপরূপ শোভা নিয়ে অবস্থান করছে তিয়োমান দ্বীপ। সেখানে বড় কোন ভবন নেই। গুটিকয়েক গাড়ি চলে। খুব বেশি রাস্তাও নেই। সৈকতে আয়েশ করতে কোনো কেদারাও রাখা নেই। প্রকৃতির অকৃত্রিম রূপ উপভোগ করতে পারবেন এখানে। এই স্বর্গীয় ভূ-খণ্ডের কিছু বর্ণনা দেখে নিন এখানেই।


১. সাদা বালুর নিরিবিলি সৈকত


সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত তিয়োমানের সৈকত। এখানে সারাদিন বসে ফলের জুস পান করতে করতে স্থানীয় সঙ্গীত উপভোগ করতে পারবেন। পশ্চিম উপকূলের এয়ার বাতাং বিচের শেষ প্রান্তে রয়েছে 'সানসেট কর্নার'। এটাই হয়তো আপনার জন্য সঠিক স্থান। সাঁতার কাটতে পারেন যখন খুশি। তবে দ্বীপের বানগুলো বেশ চোর স্বভাবেক। খাবার বা কাপড় এদিক-ওদিক ফেলে রাখলে নিমিষেই ওদের দখলে চলে যাবে।


২. বন্ধুসুলভ স্থানীয়রা


এ দ্বীপের মানুষরা কিন্তু দারুণ বন্ধুসুলভ। সবাইকে আপনার নিরাপদ ও কাছের মানুষ বলে মনে হবে। প্রতিবছর অনেকে পর্যটক সেখানে ঘুরতে যান। কিন্তু কারো সঙ্গে তাদের কোনো সমস্যা নেই। পর্যটকদের তারা অতিথি বলেই গ্রহণ করেন। বরং আপনার কোনো সমস্যা মেটাতে তাদের কাছে পাবেন।


৩. মনমুগ্ধকর সূর্যাস্ত


দশ দিনের মধ্যে নয় দিনই আপনি অপূর্ব সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন এখানে। সৈকতের পশ্চিম উপকূলে সোনা ছড়ানো সূর্যাস্ত। গোটা সূর্যটা সোজা দক্ষিণ চীন সাগরে ডুবে যাচ্ছে। এক অদ্ভুত দৃশ্য। আকাশের রংয়ের বর্ণনা দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়।


৪. সমৃদ্ধ জলজ পৃথিবী


পানির নিচটাও আপনাকে অনাবিল মুগ্ধতা দেবে। ক্রিস্টাল পরিষ্কার পানি এখানকার মূল আকর্ষণ। দারুণ সব মাছ, কচ্ছপ আর অন্যান্য প্রাণী বৈচিত্র্য আপনাকে দেবে অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা। এমনকি বছরের একটা বিশেষ সময় হোয়েল শার্কেরও দেখা মেলে এখানে। প্রাণী বৈচিত্র্যে এক স্বর্গ তিয়োমান। এখানে সার্ফিংয়ের সুযোগও রয়েছে।


৫. সৈকতমুখী সস্তা বাঙলো


থাকার খরচ একেবারে হাতের মুঠোয়। গোটা এক বাঙলো ভাড়া করতে পারবেন অনেক কম মূল্যে। তাও আবার সৈকত ঘেঁষা কোনো স্থানে। বিলাসী বাঙলোও রয়েছে। যেমন খরচের মধ্যেই চান, তা মিলে যাবে এখানে। এ ছাড়া সৈকতে ছড়ানো রেস্টুরেন্ট, রাতে বার-বি-কিউ উৎসব কী নেই এখানে? ব্যালকনিতে বসেই সমুদ্র উপভোগ করুন তিয়োমানে।


৬. জঙ্গলের বুনো ট্র্যাক


গভীর জঙ্গলেও অভিযান চালানোর সুযোগ রয়েছে। কাজেই অভিযাত্রীরা সুযোগ পেলেই এখানে চলে আসেন। বন-বাদার সমৃদ্ধ। বনের পথ ধরে চড়তে পারবেন পাহাড়ে। খালি পায়ে বা জুতো পরে অনায়াসেই চলে যান অভিযানে। রয়েছে প্রাণী বৈচিত্র্য।


সূত্র: হ্যাপি ট্রিপস