ফেসবুক যদি বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে যায়!

মজার সবকিছু April 25, 2017 3,786
ফেসবুক যদি বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে যায়!

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা অন্য কোনো পরিচয়পত্রের তথ্য সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। গতকাল সোমবার ফেসবুক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। ...এসব প্রস্তাবের পাশাপাশি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যদি তাদের বাংলাদেশ অংশটুকু পুরোপুরিই বাংলাদেশের সরকারের হাতে ছেড়ে দেয় তাহলে ফেসবুকের অবস্থা কী হতে পারে তাই কল্পনা করার চেষ্টা করেছে eআরকি।


প্রথমেই ফেসবুক লগইন। সেটায় দিতে হবে এই ধরনের তথ্য--




শর্তাবলি


১. আগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে গ্রাহককে নানা হয়রানির মুখে পড়তে হতো। বর্তমান নিয়মে ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যা যা লাগবে— ক. বিটিসিএলের একটি স্থায়ী বৈধ ফোন সংযোগ। খ. সর্বশেষ পরিশোধিত ফোন অথবা গ্যাস বিলের সত্যায়িত কপি। গ. চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (ডিজিটাল ছবি গ্রহণযোগ্য নয়)। ঘ. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি। ঙ. অন্তত ছয় মাস মেয়াদ আছে এমন মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের প্রথম দুই পাতার সত্যায়িত ফটোকপি।


২.রেজিস্ট্রেশন করার অনধিক ২৩ দিনের মধ্যে ফেসবুক সদস্য হতে ইচ্ছুক গ্রাহকের স্থায়ী ঠিকানা বরাবরে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হবে। সোনালী ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় টাকা জমা দিয়ে ফেসবুক ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। স্পষ্ট অক্ষরে সেটি পূরণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিআরটিএ কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। বিশেষ ফাইবার অপটিক কেবলসহ ইন্টারনেট সংযোগ গ্রাহককেই নিজ খরচে সংগ্রহ করতে হবে।


৩. ফর্ম যাচাই বাছাই শেষে প্রতি মাসে মোট ১০০০ ব্যক্তিকে ফেসবুকে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। আবেদনকারীর সংখ্যা এর বেশি হলে লটারির মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ ফেসবুকে যুক্ত না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রার্থী নির্বাচত করা হবে।


৪. প্রাথমিকভাবে সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক প্রার্থীকে তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি বাধ্যতামূলকভাবে আপ করতে হবে।


৫. ফেসবুক সেবাটি ১৮ বছরের কম বয়সী কারও ব্যবহারের জন্য নয়। গ্রাহকের বয়স ১৮ বছরের কম হলে ভোটার আইডি কার্ড ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা চেয়ারম্যানের সনদসহ প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র পেশ করতে হবে।


৬. সরকারের ইতিবাচক কার্যক্রমসংক্রান্ত যেকোনো স্ট্যাটাস, নোট এবং অন্যান্য সেবায় আনলিমিটেড ‘লাইক’ প্রদান করা যাবে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাকাউন্টের স্ট্যাটাসসহ অন্যান্য সেবায় প্রতি ১০০টি ‘লাইক’-এর বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে।




৭. ভুলবশত বা স্মরণশক্তির অভাবে পাসওয়ার্ড হারানো গেলে ঢাকার মগবাজারে ফেসবুক প্রকল্পের কার্যালয়ে উপপরিচালক-১ বরাবর নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে।


৮. গ্রাহকের সঙ্গে ফেসবুক-সংক্রান্ত যেকোনো যোগাযোগ শুধু ডাক যোগাযোগের মাধ্যমেই সম্পাদিত হবে। ই-মেইল বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে যোগাযোগ সম্পূর্ণ অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এ ধরনের যোগাযোগের দায় গ্রাহককেই বহন করতে হবে।


৯. লিখিত অনুমতি ছাড়া ফেসবুকের স্ট্যাটাস, ব্যক্তিগত তথ্য, নোট, বন্ধু তালিকাসহ সাইটের কোনো অংশের ব্যাকআপ নেওয়া বা ডাউনলোড করা যাবে না। এর অন্যথা ঘটলে তা ফৌজদারি আইনের লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে। তবে গ্রাহক চাইলে লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে কিছু অংশের প্রিন্ট নিতে পারবেন।

-ই- আর্কি