অ্যাসিডিটি দূর করতে খাবার

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস April 25, 2017 719
অ্যাসিডিটি দূর করতে খাবার

খাদ্যাভ্যাসে একটু অনিয়মের কারণে পেটে গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়মিত কলা, ডাবের পানি ও ঠাণ্ডা দুধ বেশ উপকারী।


ভারতীয় শরীরচর্চাবিষয়ক মোবাইল অ্যাপ ‘ফিটপাস’য়ের পুষ্টিবিদ মেহার রাজপুত এবং ‘কনসাল্ট অ্যাপ’য়ের পুষ্টিবিদ প্রেরণা আরোরা অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সহায়ক কিছু খাবারের পরামর্শ দেন।


কলা: অ্যাসিডিটির সমস্যায় প্রতিষেধকের কাজ করবে কলা। এই ফলে থাকা পটাসিয়াম এক ধরনের শ্লেষ্মা তৈরি করে যা পাকস্থলিতে পরত ফেলে। কলা শরীরের আঁশের চাহিদা পূরণ করতে সহায়ক। তাই গরমের সময় প্রতিদিন একটি করে পাকাকলা খাওয়ার অভ্যাস অ্যাসিডিটি দূরে রাখতে সাহায্য করবে।


তরমুজ ও বাঙ্গি: পানি সমৃদ্ধ দুটি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই পাকস্থলিতে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি সুরক্ষিত রেখে অ্যাসিড তৈরি রোধ করতে সাহায্য করে তরমুজ এবং বাঙ্গি। তাছাড়া এই ফলগুলো তুলনামূল ঠাণ্ডা হওয়ার ফলে শরীর শীতল থাকে এবং পিএইচ’য়ের মাত্রা কমে আসে। এছাড়া পাকাপেঁপে, আপেলও অ্যাসিডিটির সমস্যা নিরাময়ে সহায়ক।


ডাবের পানি: প্রাকৃতিক এই পানীয়তে আছে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কারক উপাদান। তাছাড়া ডাবের পানি ঠাণ্ডা, তাই পেটের জন্যও ভালো। নিয়মিত ডাবের পানি খেলে গ্যাসে পেট ফুলে থাকার সমস্যা কমে আসবে।


ঠাণ্ডা দুধ: দুধ পেটে অ্যাসিড তৈরি প্রতিরোধ করে এবং গ্যাসের কারণে হওয়া জ্বালাভাব ও অস্বস্তি কমায়। দিনের যে কোনো সময় যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা অনুভূত হয়, পেট ও বুক জ্বালাপোড়া করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা দুধ পান করলে উপকার মিলবে। তবে দুধে কোনো ধরনের চিনি বা মিষ্টি মেশানো যাবে না।


দই: দুধের মতো দই এবং বাটার মিল্ক বা ঘোল গ্যাসের সমস্যা উপশমে দারুণ উপযোগী। এ ধরনের খাবার পেট ঠাণ্ডা রাখে এবং এতে থাকা উপকারী ব্যাক্টেরিয়া পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করে। এছাড়াও দই হজম প্রক্রিয়া সচল রাখতে উপযোগী। তাই নিয়মিত খাবারের পর দই বা ঘোল খেলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।


এছাড়া গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে।


যেমন রাস্তার ভাজাপোড়া খাবার দেখতে যতই সুস্বাদু হোক, তা এড়িয়ে চলতে হবে। তৈলাক্ত খাবারে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। খাবার খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার পাশাপাশি খাবার তৈরির আগেও ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।


গ্রীষ্মে ফলের রস যতই আকৃষ্ট করুক না কেনো রাস্তার পাশের দোকানে তৈরি ফলের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তাছাড়া জুসের তুলনায় গোটা ফল খাওয়া বেশি উপকারী। তবে একান্তই জুস খেতে হলে ঘরে তৈরি করে নেওয়াই ভালো।