রক্ত সম্পর্কে অজানা তথ্যগুলো জেনে নিন!

জানা অজানা April 25, 2017 2,034
রক্ত সম্পর্কে অজানা তথ্যগুলো জেনে নিন!

রক্ত বলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে লাল রঙের গাঢ় তরল পদার্থ। রক্ত আমাদের শরীরে অক্সিজেন বহন করে। এর চেয়ে বেশি তেমন কিছু আমরা অনেকেই জানি না বা জানার প্রয়োজনীয়তাও বোধ করিনা। অথচ এই রক্ত সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য শুনলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। আসুন জেনে নেওয়া যাক রক্ত সম্পর্কিত কিছু অদ্ভুত মজার তথ্য।


১। সব রক্ত লাল নয়

আমদের দেহের রক্তের রঙ লাল হলেও, সব রক্ত কিন্তু লাল হয়না। বেশ কিছু মাকড়শা, অক্টোপাস, স্কুইড রয়েছে যাদের রক্তের রঙ নীল। আবার কিছু মাকড়শা রয়েছে যাদের রক্তের রঙ সবুজ বা বেগুনী হয়ে থাকে। অনেক প্রজাপতির রক্তের রঙ হলদেটে হয়। টিকটিকির রক্ত কিন্তু সাদা রঙের। আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন আছে বলে আমাদের রক্তের রঙ লাল।


২। একজন সুস্থ মানুষের দেহে রক্ত থাকে এক গ্যালন

একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে ১.৩২৫ গ্যালন রক্ত থাকে। মানুষের মোট দেহের ওজনের শতকরা ৭-৮ভাগ দখল করে থাকে রক্ত।


৩।শ্বেত রক্তকনিকা গর্ভাবস্থার জন্য দরকারী

সাধারণত বলা হয়ে থাকে শ্বেত রক্তকনিকা মানুষের পরিপাকক্রিয়া সচল রাখে। তবে এর পাশাপাশি গর্ভাবস্থায়ও এই শ্বেত রক্তকণিকা উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখে।


৪। রক্তে আছে স্বর্ণ

রক্তের উপাদানগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হল আয়রন, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, লেড ইত্যাদি। তবে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে রক্তে কিন্তু স্বল্প পরিমাণে স্বর্ণ বা সোনাও আছে! হুম, রক্তে ০.২ মিলিগ্রাম স্বর্ণ আছে।


৫। রক্ত কণিকার রয়েছে ভিন্ন জীবনসীমা

একটা নির্দিষ্ট সময় পর কিন্তু রক্তকণিকা আপনাআপনিই নষ্ট হয়ে যায়। লাল রক্ত কনিকার জীবনসীমা ৪ মাস, অনুচক্রিকার জীবনসীমা ৯ দিন আর শ্বেত রক্তকণিকার জীবনসীমা কয়েকঘন্টা।


৬। লাল রক্তকণিকার কোন নিউক্লিয়াস নেই

অন্যান্য রক্তকণিকার ন্যায় লাল রক্তকণিকায় কোন নিউক্লিয়াস, রাইবোসোম নেই।


৭। আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি কমায় রক্তচাপ

আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি বা সুর্য রশ্মি মানুষের দেহের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের রক্ত চলাচল কে ত্বরান্বিত করে ফলে হৃদপিণ্ড জনিত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি রক্তে মিশে ত্বককে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।


৮। স্থানভেদে রক্তের গ্রুপের হয় পরিবর্তন

আমারিকায় সবচেয়ে সহজলভ্য রক্ত হচ্ছে ও পজেটিভ আর সবচেয়ে দুর্লভ্য রক্ত হচ্ছে এবি নেগেটিভ। আবার, জাপানের সবচেয়ে সহজলভ্য রক্ত হচ্ছে এ পজেটিভ।