ভ্রমণ: ব্রাজিলের ইগুয়াকু জলপ্রপাত, নায়াগ্রার চেয়েও গভীর ও প্রশস্ত!

দেখা হয় নাই April 23, 2017 1,223
ভ্রমণ: ব্রাজিলের ইগুয়াকু জলপ্রপাত, নায়াগ্রার চেয়েও গভীর ও প্রশস্ত!

ব্রাজিলে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা মাথায় আসলেই সবাই ঐতিহ্যবাহী সামবা কিংবা উৎসবের শহরের কথাই সবাই চিন্তা করেন। কিন্তু এর বাইরেও কিন্তু দেখার মতো ব্রাজিলে অনেক কিছু আছে। সাও পাওলো বা রিও ডি জেনিরো ছাড়াও দেখার মতো অপূর্ব সুন্দর সব স্থান রয়েছে।


ব্রাজিলে আছে ফোজ ডো ইগুয়াকু। ব্রাজিলের দক্ষিণের একটি ছোট শহর। আর্জেন্টিনা আর প্যারাগুয়ের সীমান্তে অবস্থিত এক শহর। সাও পাওলো বা রিও দেখা শেষে চলে যেতে পারেন সেখানে।


ব্রাজিলের বাসগুলো এত আরামের যে চিন্তাই করতে পারবেন না। রাতের বাসগুলোতে তো টয়লেটের ব্যবস্থাও রয়েছে। কুরিটিবা থেকে ১৪ ঘণ্টার পথ ইগুয়াকু। ছোট এক শহর যেখানে অনেকগুলো পর্যটনবান্ধব স্থান রয়েছে।


বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় 'কাতারাতাস' বা জলপ্রপাত। এই সব জলপ্রপাতের পাশে হোস্টেল রয়েছে থাকার জন্য। তবে জলপ্রপাত দেখার আগে ন্যাশনাল পার্কেও যেতে পারেন।


বাসে করেই ন্যাশনাল পার্কে চলে যেতে পারবেন। নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ঢুকে পড়ুন। পার্কের মধ্যে ছাদখোলা দ্বিতল বাসে চড়ে অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। মাত্র ১৫ মিনিটের যাত্রায় মনটা ভরে উঠবে। হাজার হাজার প্রজাপতির মাঝে নিজেকে খুঁজে পাবেন। এ ছাড়া ইগুয়ানাস, বানর আর ঘামফড়িংয়েরও দেখা মিলবে।


সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো, ফোজ দো ইগুয়াকুর জলপ্রপাত কেবল নায়াগ্রার চেয়ে গভীরই না, এটা দ্বিগুণ প্রশস্ত। সরু এক পথ ধরে জলপ্রপাতের পাশ দিয়ে হাঁটতে পারবেন। বাকরুদ্ধ হয়ে যাবেন যখন গোটা জলপ্রপাতটি আপনার চোখে দৃশ্যমান হবে।


দেখে আসতে পারেন ইতাইপু হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্ল্যান্ট। এর ওপর ভিত্তি করেই ব্রাজিলের বিশাল শিল্পায়ন টিকে রয়েছে। এটি এক বিশাল পাওয়ার প্ল্যান্ট। গোটা পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে।


মানুষের তৈরি এটাই সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং বিশাল অবকাঠামো। এ ছাড়াও আশপাশের দৃশ্যপট দেখেও অনেক সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন। সূত্র: হ্যাপি ট্রিপস