ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদের নানাবিধ ব্যবহার

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস April 22, 2017 806
ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদের নানাবিধ ব্যবহার

ত্বকের যত্নে আমরা নিয়মিত অনেক কিছুই ব্যবহার করি। খুব বাজে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকার ফলে কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্য অর্থাৎ কসমেটিক্স দিয়ে ত্বকের যত্ন না করাটাই উত্তম। এজন্য দরকার প্রাকৃতিক উপাদান। এ ক্ষেত্রে হলুদের বিকল্প নেই। সবসময় আপনি ত্বকের যত্নে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।


ত্বকের উজ্জ্বলতায়: হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে শসার রস অথবা কমলালেবুর রস মিশিয়ে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক এক সপ্তাহেই চকচক করবে।


রোদে পোড়া ত্বক: রোদে পুড়ে রঙ কালো হয়ে গেলে সামান্য দুর্বা ঘাস, কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে দুধের সর মিশিয়ে লাগাতে হবে মুখ, গলা, ঘাড়, হাত প্রভৃতি অংশে।


তৈলাক্ত ত্বক: কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে মেখে এক চামচ লেবুর খোসা বাটা মেশান। এবার মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রাখার পর ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন।


শুষ্ক ত্বক: কাঁচা হলুদের পেস্ট দুই চামচ, ডিমের কুসুম একটি ও চালের গুঁড়া দুই চামচ একসঙ্গে মিশ্রণ করে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।


ব্রণ : রসুনের কোয়া থেঁতো ও হলুদের মিশ্রণ শুধু ব্রণের উপরে লাগান, দিনে দুইবার। দুটিই অ্যান্টিসেপ্টিকের কাজ করে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে হলুদ ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে ব্রণ ও ব্রণজনিত লাল ভাব দূর করে।


মেছতা : চার টেবিল চামচ হলুদের পেস্ট, ১০ টেবিল চামচ দুধ ও দুই টেবিল চামচ ছোলার ডালের বেসন মিশিয়ে ওই মিশ্রণটি দাগের ওপর পুরু করে লাগিয়ে রাখতে হবে ৩০ মিনিট। এর পর পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।


সব সংকটের সমাধানে কাঁচা হলুদের বিকল্প নেই। নিজের যে সমস্যা সেটি চিহ্নিত করে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করেন নিয়মিত।