অফিসে প্রমোশন পেতে চান তো মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

লাইফ স্টাইল April 21, 2017 795
অফিসে প্রমোশন পেতে চান তো মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

সারা বছর ঘাম ঝরিয়ে কাজ করার পর সবাই চায় বেশ কিছুটা মাইনে বাড়াতে, প্রমোশন পেতে। কিন্তু এই ইচ্ছা পূরণের ক্ষমতা যে নেই আমাদের হাতে। এক্ষেত্রে জিনির মতো সব ক্ষমতার চাবিকাঠি যে রয়েছে বসের হাতে। উনি যদি চান তবেই আমাদের নির্ভেজাল, বোরিং জীবনে বাড়তি মাইনের আনন্দ জায়গা করে নেবে, নয়তো সেই খালি হাতে, মুখ ঝুলিয়েই বাড়ি মুখে হতে হবে।


সবই ঠিক আছে। কিন্তু একটা জিনিস কিন্তু ভুল বললেন বন্ধু! কী? কর্মজীবনে আমারা কতটা উন্নতি করবো তা কিন্তু অনেকাংশেই আমাদের হাতেই থাকে। কীভাবে? এই উত্তর পেতে যে চোখ রাখতে হবে এই প্রবন্ধে। কারণ এই লেখায় এমন কিছু সহজ নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে আপনার প্রমোশন কেউ আটকে পারবে না। সেই সঙ্গে বসও এত খুশি হয়ে যাবে যে অফিস হয়ে উঠবে আপনার কাছে স্বর্গ।


কী, এ বছর প্রমোশন চাই তো? তাহলে আপেক্ষা কিসের, এক্ষুনি চোখ রাখুন এই লেখায়।


সমালোচনায় অংশ নেবেন না:

সব অফিসেই এমন একটা দল থাকে যারা সারাক্ষণ কারও না কারও সম্পর্কে সমালোচনা করে থাকে। এমনটা করেই তারা খুশি পান। এইসব নেগেটিভ আলোচনায় অংশ নিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। পরিবর্তে ওই সময়টা কাজে লাগাবেন। ভাববেন আরও কীভাবে নিজের কাজকে ভাল করা যায়। এমনটা করলে দেখবেন কাজে তো উন্নতি ঘটবেই, সেই সঙ্গে নেগেটিভ এনার্জির কারণেও হওয়া দুশ্চিন্তা থেকেও দূরে থাকতে পারবেন।


বস যা বলছে তা ভাল করে বোঝার চেষ্টা করুন:

উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কি আপনার সঙ্গে ভাল ভাবে কথা বলছে না। সব সময়ই কেমন য়েন দূরত্ব বজায় রেখে চলছে? এমনটা হলে ভয় পেয়ে যাবেন না। হতে পারে নানা কারণে আপনার বস বেজায় টেনশনে আছেন, তাই হয়তো এমনটা করছেন। এক্ষেত্রে বসের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজন যে কারণে তার টেনশন হচ্ছে সেই কাজে তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করুন। এমনটা করলেই দেখবেন টেনশন অনেকটা কমে যাবে। ওই যে কথায় আছে না, 'আলোচনার মাধ্যমে যে কোনও সমস্যার সমাধান বেরিয়ে যায়।' কর্মজীবনে উন্নতি করতে এই নীতিটি কিন্তু দারুন কাজে আসতে পারে।


নিজের কাজটা ভাল ভাবে করুন:

কর্মজীবনে উন্নতি করতে এই মন্ত্রটির কোনও বিকল্প নেই। নিজের কাজ যদি ঠিক মতো করেন এবং সময়ের আগে করেন, তাহলে অফিসে এমনিতেই আপনার কদর বাড়বে, সেই সঙ্গে বাড়বে মাইনেও। প্রসঙ্গত, ভালভাবে কাজ করার পথে বেশিরভাগ সময়ই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। তাই যখনই দেখবেন মানসিক চাপ বাড়ছে, তখনই তার কারণ খুঁজে সেই সব সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করবেন। তাহলেই দেখবেন সুস্থ শরীরে এবং সুস্থ মনে ভাল ভাবে কাজ করতে পারছেন।


অলসতাকে হারাতেই হবে:

কেরিয়ারকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাহলে এই একটা জিনসকে যেভাবেই হোক দূরে রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে অলসতা উন্নতির পথে সব থেকে বড় বাঁধা। এক্ষেত্রে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন। সব সময় বস যে চ্যালেঞ্জ দেবে, তা সময়ের আগে শেষ করার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলে দেখবেন আপনার প্রতি সিনিয়াদের আগ্রহ বাড়বে, বাড়বে আপনার প্রতি বিশ্বাসও, যা শুধু প্রমোশন নয়, আরও নানাভাবে আপনাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।


উদাহরণ হয়ে উঠুন:

প্রতিটি ক্ষেত্রে সময়ের আগে কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে কিছু দিন অতিরিক্ত সময় অফিসে থেকে কাজ উতরে দিন। এমনটা বেশ কিছু সময় করলেই দেখবেন আপনার নাম নিয়ে বাকিদের উপাদাহরণ দেবেন আপনার বস। আর একথা তো সবাই জানে যে, যারা সেরা হয়, তাদের প্রমোশনের সময় কেউই ভুলতে পারে না। তাই আগামী বছর যদি মাইনে বাড়াতে চান অথবা আউট অব দ্যা টার্ম প্রমোশন পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাহলে এখন থেকেই উদাহরণ হয়ে ওটার চেষ্টা করুন।


সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করুন:

কাজ নিয়ে প্রতিনিয়ত যারা অভিযোগ জানান, তারা কখনই জীবনে এগতে পারেন না। আপনিও কি এই দলের সদস্য হতে চান? না তো! তাহলে কাজ করতে গিয়ে যে যে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন, সেগুলির সমালোচনা না করে কীভাবে সেই সব বাঁধাকে টোপরে বেরতে পারবেন, সে সম্পর্কে ভাবতে থাকুন। তাহলেই দেখবেন জীবনে এগনোর পথে আর কোনও চাপই হবে না।


হাসিই উন্নতির চাবিকাঠি:

গোমড়া মুখোদের সবাই কিন্তু ভাল চোখে দেখে না। যেখানে হাসি খুশি মানুষদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বেশি পছন্দ করেন। কেন জানেন? একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, বসেরা মনে করেন কাজের চাপের মাঝেও যারা হাসিখুশি থাকেন, তারা বেশি কর্মঠ হন। শুধু তাই নয়, এমন মানুষেরা বাকি এমপ্লয়িদেরও ভাল কজ করতে উৎসাহিত করেন বলে মনে করেন অনেকে। তাই আপনি যদি গম্ভীর স্বভাবেবর হন, তাহলে কর্মজীবনে এগতে নিজের চরিত্রে একটু রদবদল আনাটা জরুরি।


সূত্রঃ বোল্ডস্কাই