বাদামে লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি!

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস April 20, 2017 878
বাদামে লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি!

বর্তমান সময়ে সুস্থ থাকাটা সত্যিই একটা চ্য়ালেঞ্জ। একে তো পরিবেশ দূষণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তার উপর আমাদের ভুলেও বৃদ্ধি পাচ্ছে একাধিক রোগের প্রকোপ। এমত অবস্থায় সুস্থ থাকতে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করাটা জরুরি। না হলে কিন্তু চোখের পলকে জীবনকাল ছোট হয়ে যাবে, এবং আপনাদের কিছু করারও থাকবে না।


এক্ষেত্রে কী করণীয়? বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু প্রতিদিন নিয়ম করে এক মুঠো নুন ছাড়া বাদাম খাওয়া শুরু করুন। সেই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খান এবং নিয়নিত শরীরচর্চা করুন। তাহলেই দেখবেন কোনও রোগই আপনাকে ছুঁতে পারবে না। কিন্তু বাদামের সঙ্গে সুস্থ থাকার কী সম্পর্ক? সেই উত্তর জানারই চেষ্টা চালানো হল এই প্রবন্ধে।


- 'আই সি এম আর' এবং 'হু' এর রিপোর্ট পর্যালোচনা করলেই দেখতে পাবেন গত কয়েক বছরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা কেমন চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে। শুধু তাই নয়, আগামী ৫ বছরে এই সংখ্যাটা নাকি আরও বড়বে, এমনটাই ধরণা বিশেষজ্ঞদের। তাই তো এখন থেকেই প্রয়োজনীয় সাবধনতা অবলম্বল করাটা একান্ত প্রয়োজন। আর কীভাবে করবেন এই কাজটা? এক্ষেত্রে বাদাম আপনাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করতে পারে। আসলে বাদামে উপস্থিত পলিফেনোলিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একাধিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা হ্রাস করে। বিশেষত, গ্যাস্ট্রিক এবং কোলোন ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।


- হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাদাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে মনো এবং পলি-স্যাচুরেটেড ফ্য়াটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে হার্ট একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওটে।


- বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি৩ এবং রেসভেরাট্রল। এই দুটি উপাদান মস্তিষ্কে রক্ত চলাচাল বাড়িয়ে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়, তেমনি অন্যদিকে স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে।


- মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেস কমাতে বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এতে উপস্থিত টাইটোফন নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে নানাবিধ হরমোনের ক্ষরণকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ডিপ্রেশন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।


- গল স্টোনের আশঙ্কা কমাতেও বাদাম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে বাদাম খেলে গল স্টোনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা প্রায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পায়। তাই এই ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকতে যদি চান, তাহলে আজ থেকেই বাদাম খাওয়া শুরু করুন।


- অ্যালঝাইমার রোগকে প্রতিরোধ করতেও কাজে লাগাতে পারেন বাদামকে। যাদের পরিবারে এই রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের তো নিয়মিত বাদাম খাওয়া জরুরি। আসলে এতে উপস্থিত নিয়াসিন নামে একটি উপাদান অ্যালঝাইমার রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভুমিকা নেয় বলে একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।


- গর্ভবতি মহিলাদের জন্য এই খাবারটি দারুন উপকারি। এতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড ভাবি মায়েদের শরীরের একাধিক সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।


- বাদামে উপস্থিত ভাটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে চনমনে এবং সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই তো শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।