৮২ নারীকে ধর্ষণ ও নৃশংস খুন করেও মেয়ের কাছে ‘পৃথিবীর বেষ্ট বাবা’!

ভয়ানক অন্যরকম খবর April 17, 2017 2,649
৮২ নারীকে ধর্ষণ ও নৃশংস খুন করেও মেয়ের কাছে ‘পৃথিবীর বেষ্ট বাবা’!

ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত সিরিয়াল কিলার আছে যাদের কর্মকাণ্ডের কথা শুনলে ভয়ে শিহরিত হতে হয়। পেশায় একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন তিনি । বর্তমানে সিরিয়াল কিলিং-এর অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করছেন ।


ভয়ানক এই মানুষরুপি পাষণ্ড ব্যক্তি এতটাই নির্মম ছিলেন যে, নিজের মেয়ের স্কুলের শিক্ষিকাকে খুন করে তারই শেষকৃত্যের জন্য টাকা দিয়েছিলেন। তার মাত্র কদিন পরেই পালাক্রমে পুলিশের গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করে খুন করেন নিজের মেয়ের স্কুলে পড়ুয়া দুই স্কুলছাত্রীকেও।


সেই ভয়ংকর খুনি বাবা পৃথিবীর চোখে ঘৃনিত হলেও মেয়ের কাছে ভালোবাসার ‘বাবা’ মাত্র। বাবার স্মৃতিচারনে তার মেয়ে নিজের ব্লগে একটি স্মৃতিচারনে তার অকৃত্তিম ভালোবাসার কথা প্রকাশ করার পরেই ঘটনাটি নতুন করে নজর কাড়ে সবার। দ্যা ডেইলি সান এ প্রকাশিত একটি সংবাদসুত্রমতে,


বিচারের আদালতে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ঠিক কতজনকে ধর্ষণ আর খুন করেছেন?


কিন্তু তার সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি মিখাইল ওয়ারওফ নামের ভয়ংকর এই ঠান্ডা মাথার খুনি । তবে আদালতের চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ আর তথ্য বলছে ৮২ জন নারীকে ধর্ষণের পর খুন করেছেন পপকভ। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


পুলিশের পোশাক পরে নাইটক্লাবের সামনে বেশ নিয়ম করেই অপেক্ষা করত ওয়ারওফ। কোন মেয়ে একা বেরোলেই তাকে সাহায্য করার নামে গাড়িতে তুলে নৃশংস কায়দায় ধর্ষণ শেষে হত্যা করত। মোট কথা যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করেই এই সিরিয়াল কিলার একধরনের পাশবিক আনন্দ পেতেন । তার বিরুদ্ধে হত্যার পর কোন নারীকে ধর্ষণের ভয়াবহ অপরাধও ছিলো ।


সিরিয়াল কিলিং বা সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। তাদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে মনোবিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অপরাধবিজ্ঞানীদেরও গবেষণার শেষ নেই।


সিরিয়াল কিলার বা ধারাবাহিক খুনিদের নিয়ে যুগে যুগে বহু সিনেমা, গল্প, কাহিনীর জন্ম হয়েছে। রহস্যময় সেই সিরিয়াল কিলাররা হয়ত আমাদের আশেপাশেই লুকিয়ে আছেন আপনার মত সাধারন চেহারা নিয়েই!


রাশিয়ার সাইবেরিয়ার শান্ত শহরে ২২ জন নারীকে খুন করার অভিযোগে ২০১৫ সালে তাকে আদালতে বিচার শেষে শাস্তি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, অনেককে খুন করার পর তাদের দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেছিল এই ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার। অনেকের দেহ ছিঁড়ে বের করে এনেছিল হৃৎপিণ্ড। প্রত্যেককে খুন করার আগে ও পরে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে মৃতদেহগুলো চরম বিকৃত করা হয়েছে।


পপকভের মেয়ে মানতে নারাজ যে তার বাবা একজন খুনি। মেয়ের কাছে পপকভ ‘বেস্ট’ বাবা। স্কুল শেষে মেয়েকে আনতে যাওয়া, একসঙ্গে গাড়ির মডেলের কালেকশন বানানো সবই করেছেন। শুধু তাই নয়, পেশাগত জীবনেও বেশ সুনাম ছিল পপকভের। শুধু একবার এক ধর্ষণকারীকে খুন করেছিলেন পুলিশের পোশাক পরেই। তাতে কোন শাস্তি হয়নি পপকভের।


যদিও তার এই অপরাধের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে অনুসন্ধান বলছে সম্ভবত স্ত্রী’র অবৈধ সম্পর্কের জেরেই মাথা বিগড়ে যায় পপকভের। হঠাৎ একদিন মনে হয় যেভাবেই হোক একজন মেয়েকে খুন করতে হবে।


সেই শুরু। এরপর থেকে রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। পুলিশের পোশাকে, পুলিশের গাড়ি নিয়ে নাইটক্লাবের সামনে অপেক্ষা করত পপকভ। কোন মেয়ে একা বেরোলেই তাকে সাহায্য করার নামে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ শেষে হত্যা করত।


সূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর