পুরুষত্বহীনতা থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস April 15, 2017 1,430
পুরুষত্বহীনতা থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে

বিয়ের পরে একজন পুরুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। বেড়ে যায় কাজ, বাড়ে দায়িত্বও। তাই অতিরিক্ত কাজ করে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শারীরিক ক্লান্তি আসলে চলবে না।


জানেন তো, স্বামী হিসেবে স্ত্রীর সব চাহিদা পূরণ করার দায়িত্বও আপনারই। তাই এ সময় প্রতিটি বিবাহিত পুরুষেরই নিজেদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে বেশি নজর দিতে হবে।


তাদের খেতে হবে এমন খাবার, যা শরীরে টেস্টোস্টেরন পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান স্টেরয়েড হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করবে। রক্ষা করবে পুরুষত্বহীনতা থেকে, সেই সঙ্গে মন-মেজাজ ভালো রাখতেও সাহায্য করবে।


তাহলে আসুন দেরি না করে জেনে নয়া যাক কি সেই খাবার, যা খেলে পুরুষত্বহীনতা থেকে রক্ষা পাবেন আপনি।


বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হল;


রসুন: রসুনে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা, রক্ত চলাচলে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কারণ রক্ত চলাচল ভালো হলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। সেই সঙ্গে শরীর দুর্বল হওয়ার আশংকা হ্রাস পাবে।


চকোলেট: সারা দিনে যখনই সময় পাবেন অল্প অল্প করে চকোলেট খেতে থাকবেন। এমনটা করলে শরীরে ডোপামাইন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পাবে। এ হরমোনটি যত ক্ষরিত হবে, তত মন মেজাজ ভাল হতে শুরু করবে। বিয়ের পর পর মেজাজ খিটখটে করে রাখতে যদি না চান, তাহলে এটা অবশ্যই খাবেন।


কলা: এ ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই সবক'টি উপাদানই শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে সেক্স হরমোনের মাত্রাও সঠিক রাখে।


রেড মিট: শরীরে পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান স্টেরয়েড হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে রেড মিটে উপস্থিত কার্নিটাইন নামে উপাদান দারুণ সাহায্য করে।


পালং শাক: এতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম ফার্টিলিট বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে ব্লাড ভেসেলের পরিধি বাড়িয়ে দিয়ে সারা শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।


ভ্যানিলা: সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন দাবি করা হয়েছে যে, ভ্যানিলা টেস্টের যে কোনো খাবার খেলে পুরুষদের মন খুব ভালো হয়ে যায়। তাই এবার থেকে মুড ভাল রাখতে মাঝেমধ্যেই স্ট্রবেরি ফ্লেবারের কোনো খাবার খেতে পারেন।


ঝিনুক: বেশিরভাগ পুরুষই হয়তো এটি খান না। তবে জেনে রাখুন, পুষ্টিগুণের দিক থেকে ঝিনুকের গুরুত্ব মোটেও কম নয়। এতে উপস্থিত জিঙ্ক শরীরে ‘টি-লেভেল’ বাড়ায়, যা সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, লাভ হরমোনের ক্ষরণ বাড়াতেও জিঙ্ক ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।