এই বৈশাখে কীভাবে সস্তায় কিংবা ফ্রি-তে ইলিশ মাছ খেতে পারেন

মজার সবকিছু April 10, 2017 1,536
এই বৈশাখে কীভাবে সস্তায় কিংবা ফ্রি-তে ইলিশ মাছ খেতে পারেন

বর্ষবরণের প্রধান অনুষঙ্গ পান্তা-ইলিশ। নববর্ষের উৎসবে রমনা বটতলা ঘিরে নয়, সারা দেশেই পান্তা খেতে বড় লোকদের ঢল নামে। পান্তা খেতে মাটির সানকিতে মস্ত একটা ইলিশ মাছের পেটি না হলে তো নববর্ষটাই মাটি। কিন্তু শত হোক আমরা বাঙালি তো... ফ্রি খাওয়ার সাধ মাঝে মধ্যে জাগেই। ফ্রি যদি নাও হয়, ইলিশ মাছ স্বর্ণের দামের চেয়ে একটু সস্তায় পেতে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন-


▶রান্নার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যান


বৈশাখ সিজনে বিভিন্ন চ্যানেলের রান্নার অনুষ্ঠানগুলোতে ইলিশ-পান্তার নুডুলস, ইলিশের কাচ্চি এসব আইটেম রান্না তো হবেই। আপনাকে রান্না করতে হবে না, জাস্ট এসব অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে চলে যান। তাদের রান্নার ১০১টি ভুল ত্রুটি ধরার সঙ্গে ইলিশের বাহারি সব রান্নাও চেখে দেখার সুযোগ পেয়ে যাবেন।


▶ভার্সিটির হলের বড় ভাইদের হাত করুন


মাঝে মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আয়োজন করা হয় অমুক ফেস্ট তমুক ফেস্ট। আর বৈশাখ এলে পান্তা-ইলিশ ফেস্ট টাইপ আয়োজন তো হয়ই। এসব ফেস্টে ‘আম’ ছাত্ররা টাকা দিয়ে খেলেও বড় ভাইরা তাদের ‘বড় ভাইত্ব’ খাটিয়ে ফ্রি-তেই ইলিশ মাছ খেয়ে নেন। সুতরাং ফ্রি-তে ইলিশ খেতে চাইলে অবশ্যই হলের বড় ভাই অথবা তার সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে হাত মেলাতে হবে।


▶বাপকে হোটেল দিতে বলুন


পৃথিবীর সব থেকে বড় আর উদার হোটেল হল বাপের হোটেল। সব হোটেল বন্ধ থাকলেও এই হোটেল বাংলা ছবির ত্যাজ্যপুত্র নায়ক ছাড়া কারও জন্য কখনও বন্ধ থাকে না। কিন্তু এজন্য তো বাপের আদৌ কোনো হোটেল থাকতে হবে আগে। সেজন্য বৈশাখের আগেই বাপকে দ্রুত একটি ভাত মাছের হোটেল দিতে বলুন, নিশ্চিন্তে বাপের হোটেলে বসে ইলিশ মাছ খান। আর পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশের ব্যবসা তো রমরমা চলবেই...


▶পদ্মার পাড়ের জেলের সঙ্গে প্রেম করুন


আগেই বলে রাখা ভালো, এ পন্থাটা শুধু এদেশের আপু কিংবা আপ্পি সমাজের জন্য। ভাইয়া সমাজ চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আপু সমাজ বৈশাখে বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে গিফট চাইতেই পারে। আর আসন্ন বৈশাখকে সামনে রেখে যদি পদ্মার পাড়ের কোনো জেলেকে পটিয়ে ফেলতে পারেন, গিফট হিসেবে ইলিশ মাছ পাওয়া তো কনফার্ম!


▶তরকারিতে ইলিশ ধোয়া পানি ব্যবহার করুন (কলিকাতা পদ্ধতি)


আপনার ইলিশ কেনার টাকা না থাকলে সস্তায় ও ফ্রি-তে ইলিশ না খেতে পারলেও ইলিশের ঘ্রাণ নেয়ার সুযোগ আছে। মাছের বাজার থেকে কিছু ইলিশ ধোয়া পানি নিয়ে আসুন, এরপর সেই পানি ব্যবহার করে তরকারি রান্না করুন। ফলে তরকারিতে লেগে থাকবে ইলিশের ঘ্রাণ! শুঁটকি দিয়ে ভাত খেলেও আপনার মনে হবে, ইলিশ দিয়েই যেন ভাত খাচ্ছেন! এই পদ্ধতিকে উৎপত্তিগতভাবে ‘কলিকাতা’ পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে!


▶ইলিশের বডি স্প্রে


ইলিশ খাওয়া যেমন এই সিজনে টাফ, আপনি সত্যিই ইলিশ খেয়েছেন তা পাবলিককে বুঝানো হেব্বি টাফ। ইলিশ খাওয়া হয়েছে, এটা যেহেতু এই সিজনে সামাজিক সম্মানের ধারক ও বাহক, গা থেকে ইলিশ ইলিশ গন্ধ আসাও জরুরি। তাই ইলিশের আঁশ-টাশ হাবিজাবি সংগ্রহ করে দ্রুত ইলিশ মাছের গন্ধওয়ালা বডি স্প্রে বানিয়ে ফেলুন! পুরো বৈশাখ মৌসুমজুড়ে পাঞ্জাবিতে ইলিশের বডি স্প্রে মেরে বাইরে বের হতে পারেন। যদি ইলিশ নাও খেয়ে থাকেন, তবু মানুষ ধরেই নেবে, আপনি ইলিশ খেয়েছেন শিওর!