আম পাতার এই গুণগুলির কথা জানেলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস April 10, 2017 1,355
আম পাতার এই গুণগুলির কথা জানেলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন

সাধে কী আর ফলের রাজা বলা হয় আমকে। স্বাদে যেমন অদ্বিতীয়, তেমনি গুণেও তুলনাহীন। তাই তো এই প্রবন্ধে আমের এমন একটি দিক তুলে ধরা হবে, যা আপনাকে আবাক করবেই।


আম পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা আমাদের সুস্থ রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এতে উপস্থিত ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবয়েলস শরীরের গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেয় নয়। আম পাতা আরও নানাভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ায়। যেমন...


১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:

রক্তনালীকে প্রসারিত করার পাশপাশি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে আম পাতা। তাই তো প্রেসারের রোগীদের প্রতিদিন এক কাপ করে আম পাতার চা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।


২. ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করে:

আম পাতায় রয়েছে টেনিনস এবং অ্যান্থোসায়ানিন নামে দুটি উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন আম পাতা দিয়ে তৈরি চা খেতে হবে। প্রসঙ্গত, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে আম পাতা দিয়ে তৈরি চা খেলে নানাবিধ হার্টের রোগও দূরে থাকে।


৩. শ্বাসকষ্ট কমায়:

প্রতিদিন আম পাতা দিয়ে তৈরি চা খেলে প্রায় সব ধরনের রেসপিরেটরি প্রবলেম দূর হয়। বিশেষ করে যারা ব্রঙ্কাইটিস এবং অ্যাস্থেমার সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে তো এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি দারুন কাজে আসে। তাই এবার থেকে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে পরিমাণ মতো জলে অল্প করে আম পাতা দিয়ে সেই জলটা ফুটিয়ে নিয়ে খাবেন। তাহলেই দেখবেন কষ্ট কমতে শুরু করে দিয়েছে।


৪.কানের ব্রণ সারায়:

কানে ব্রণ হওয়ার কারণে খুব কষ্টে আছেন? তাহলে তো এক্ষুনি কয়েকটি আম পাতা জোগার করে সেগুলি থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর সেই রসটা অল্প গরম করে কানের ভিতরে ধীর ধীরে দিতে থাকুন। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখবেন সমস্যা কমে যাবে।


৫. পুড়ে যাওয়ার জ্বালা কমায়:

রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়ে গেছে? চিন্তা নেই কয়েকটি আম পাতা নিয়ে সেগুলিকে পুড়িয়ে ফেলুন। তারপর সেই ছাই ক্ষত স্থানে ধীরে ধীরে ঘযে দিলেই দেখবেন পুড়ে যাওয়ার জ্বালা একেবারে কমে গেছে।


৬.ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

কয়েকটি কচি আম পাতা নিয়ে জলে ফোটান। যতক্ষণ না পাতাগুলি একেবারে হলুদ হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ জলটা ফোটাতে থাকুন। তারপর সেই জলটা পান করুন। এই ভাবে প্রতিদিন আম পাতার জল খেলে ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কিত কষ্ট একেবারে কমে যায়।


৭. স্ট্রেস কমায়:

নিয়ম করে দিনের শেষে ২-৩ কাপ আম পাতা দিয়ে তৈরি চা পান করলে কোনও দিন মানসিক চাপ আপনাকে বিপদে ফেলতে পারবে না। আসলে আম পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা নার্ভকে শান্ত করে, ফলে মানসিক ক্লান্তি দূর হয়।


৮. কিডনি স্টোনের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

আম পাতা শুকিয়ে নিয়ে সেগুলিকে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেই গুঁড়ো এক গ্লাস জলে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। তাহলেই প্রস্রাবের সঙ্গে স্টোন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।


৯. গলা ব্যথা কমায়:

যে কোন ধরনের গলার সমস্যা কমাতে আম পাতার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে কয়েকটি আম পাতা পুড়িয়ে সেই ধোঁয়া নিতে থাকুন। তাহলেই দেখবেন গলার ব্যথা একেবারে কমে গেছে।


১০. দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করে:

মুখ থেকে বদ গন্ধ বেরচ্ছে? সেই সঙ্গে ক্যাভিটির সমস্যাও রয়েছে? তাহলে আর সময় নষ্ট না করে আম পাতাকে কাজে লাগান। এতে উপস্থিত নানাবিধ উপাদান এই ধরনের রোগকে কমিয়ে ফেলতে দারুন কাজে আসে।


তথ্যসূত্রঃ বোল্ডস্কাই