গরমের সময় এই ৯টি নিয়ম না মানলে কি হতে পারে জানেন?

লাইফ স্টাইল April 10, 2017 1,360
গরমের সময় এই ৯টি নিয়ম না মানলে কি হতে পারে জানেন?

তাপ প্রবাহ যেন থামার নামই নিচ্ছে না। সেই সঙ্গে ঘাম ও অস্বস্তিও যেন বেড়েই চলেছে। চাই তো এখন থেকেই সবাধান হওয়াটা জরুরি। না হলে অক্কা যেতে যে সময়ও লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য! এখন প্রশ্ন হল গরমকে হারানো কি আদৌ সম্ভব? অবশ্য়ই সম্ভব! তবে তার জন্য এই প্রবন্ধে আলোচিত ৯ টা নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই কেল্লাফতে!


গরমকালে বাচ্চা এবং বয়স্কদের সুস্থ রাখাটা বাস্তবিকই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রেও এই নিয়মগুলি দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। কারণ এই নিয়মগুলি মেনে চললে শরীর একেবারে ঠান্ডা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দেহে জলের অভাবও দূর হয়। ফলে গরমের কু-প্রভাব পরার কোনও সুযোই থাকে না।তাহলে আর অপেক্ষা কিসের। চলুন চোখ রাখা যাক বাকি প্রবন্ধে।


১. সুতি জিন্দাবাদ:

গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সুতির জামা-কাপড় পরা মাস্ট। কারণ শরীরের অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যেতে এমন ধরনের কাপড় সাহায্য করে। ফলে শরীর গরম হতে পারে না। আর একথা তো সকলেই জানেন যে শরীর যত ঠান্ডা থাকবে, গরমের সময় অসুস্থ হয়ে পরার আশঙ্কা তত হ্রাস পাবে।


২. টেবিল ফ্যানের হাওয়াকে ঠান্ডা করুন:

গরম কালে ফ্যানের হওয়াও যেন গরম হয়ে যায়। ফলে অস্বস্তি কমার জায়গায় উলটে বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ছোট্ট একটা ট্রিক খুব কাজে আসতে পারে। রাতে শুতে যাওয়ার সময় জানলার দিকে মুখ করে দিন টেবিল ফ্যানটা। তাহলেই দেখবেন ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করেছে। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? আজই একবার এই পদ্ধতিটিকে কাজে লাগিয়ে দেখুনই না। উপকার যে পাবেন, তা হলফ করে বলতে পারি।


৩. জানলাকে ঠিক মতো ব্যবহার করুন:

দিনের বেলা ভলেও জানলা খেল রাখবেন না। তাতে ঘরের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা কমবে। আর রাতের বেলা সব সময় জানলা খুলে দেবেন। কারণ সারাদিন আপনার ঘর যে তাপ শোষণ করেছে তা রাতের বেলা বাইরে বার করে দেয়। ফলে ঘরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। তাছাড়া এই সময় আবহাওয়াও একটু ভাল হয়ে যায়। ফলে ঘর ঠান্ডা হতে সময়ই লাগে না।


৪. স্নান:

যতবার পারবেন ঠান্ডা জলে স্নান করবেন। বিশেষত সকালবেলা এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে। এমনটা করলে দ্রুত শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। ফলে গরমের কারণে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হবে।


৫. ফ্যান এবং এসি একসঙ্গে চালাবেন:

একেবারে টিক শুনেছেন। গরমকে হার মানাতে প্রয়োজনে ফ্যান এবং এসি একসঙ্গে চালাবেন। তাতে ঘরের তাপমাত্র কম থাকবে। ফলে গরমের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে থাকাও সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, এসি এবং ফ্যান যদি একসঙ্গে চালাতে না চান, তাহলে প্রথমে এসি চালিয়ে ঘরটা ঠান্ডা করে নিয়ে তারপর ফ্যান চালাতে পারেন। এমনটা করলেও বেশ আরাম পাবেন।


৬. বাথরুমের জানলাও খোলা রাখবেন:

স্নান করার সময় ও পরে বাথরুমের জানলা খুলে রাখবেন। তাতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। সেই সঙ্গে গরমের অস্বস্তিও অনেকটা কমবে।


৭. সরবত খাবেন বেশি করে:

শরীরকে ঠান্ডা লাগতে যখনই সুযোগ পাবেন ঠান্ডা সরবত, জুস বা ডাবের জল খাবেন। এমনটা করলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। ফলে কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে।


৮. ফল এবং সবজি খেতে হবে:

গরমের সময় বেশি ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার না খেয়ে যত বেশি করে সম্ভব ফল এবং সবজি খাবেন। তাহলেই দেখবেন তাপ প্রবাহ আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।


৯. সকালে শরীরচর্চা করবেন:

গরম কালে সকাল সকাল শরীচর্চা করলে দেহের অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। ফলে শরীর ঠান্ডা হতে শুরু করে। আর শরীর যখন ঠান্ডা হয়ে যায়, তখন গরমকে হার মানাতে সময়ও লাগে না।


তথ্যসূত্রঃ বোল্ডস্কাই